
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও যখন হতাশ হয়ে ফিরেন সাধারন যাত্রীরা ঠিক তখন নিরুপায় হয়ে কম্পিউটারের দোকান বা ভ্রাম্যমান কালোবাজারিদের কাছে থেকে চড়া দামে ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়। তাদের এই অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টিকিটের দাম নেয় চক্রটি। আর এই কালোবাজারির সময় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিকিট ঘর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৭ টি ট্রেনের টিকিট জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের সাঁতাহার মহল্লার মোসলেম ঢালীর ছেলে মানিক ঢালী (৩২) এবং একই মহল্লার মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন (৩০)।
রেলওয়ের ত্রিমুখী জংশন স্টেশন সান্তাহারে বরাবরই ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। একটি সংঘবদ্ধ টিকিট কালোবাজারী চক্রের সদস্যারা এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আগে টিকিট কিনে বেশি দামে বিক্রি করে আসছে। এতে নিরীহ জনসাধারণের সরলতার সুযোগ নিয়ে চক্রটি আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অতিরিক্ত দামে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করে আসছে।
সান্তাহার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক নুর-এ নবী জানান, কালোবাজারি চক্রের কিছু সদস্য রেলস্টেশনে বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রেলস্টেশনের টিকিটঘর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুই জন টিকিট কালোবাজারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৭টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে মানিক ঢালীর কাছে থেকে ৩টি এবং মামুনের কাছে থেকে ৪ টি। ওই ৭টি টিকিটে ১০সিট ছিলো যাহার মূল্য ৭ হাজার ৬২ টাকা।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিউল আযম জানান, ওই দুই যুবক কালোবাজারির মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট অবৈধভাবে অনলাইন ও কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করে নিজ হেফাজতে রেখে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে আসছিল। সোমবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার সকালে তাদের জেলহজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ চক্রের সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।