
আসাম প্রতিনিধি, সুজন চক্রবর্তী:
অ্যাসিড খাইয়ে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আসামরাজ্যের করিমগঞ্জ জেলার রাতাবাড়ি থানার অন্তর্গত পলডহর জিপির ভৈরবনগর। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। ভৈরবনগরের এক সন্তানের জননী সুমনা বেগম(২২) এর রহস্যজনক মৃত্যুর পর তার বাবার বাড়ির সদস্যদের এমন অভিযোগে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাদের অভিযোগ সুমনাকে তার স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর শারীরিক নির্যাতনের পর অ্যাসিড খাওয়ানো হয়েছে। তারা সুমনার স্বামী সাকিল আহমেদ, শাশুড়ি আলিফা বিবি ও দেবর জাকিরকে অভিযুক্ত করে রাতাবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সূত্রে প্রকাশ, ঈদে সুমনা তার অসুস্থ বাবাকে দেখতে যান। রাতে থেকে যান বাপের বাড়িতে। পরদিন সকালে তার স্বামী সাকিল আহমেদ তাকে নিতে আসেন। যথারীতি বাড়ি ফিরে যান দুজন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সুমনার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন স্বামী, শাশুড়ি এবং দেবর। তিনজন মিলে গৃহবধূকে মারপিট করেন বলে বিস্তারিত জানান সুমনার কাকা। তিনি বলেন, তার ভাতিজিকে মারপিট করে থেমে যাননি জোর করে মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেন। এদিন সন্ধ্যায় ৭টায় এ ঘটনার পর তাকে চরগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চরগুলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে প্রেরন করেন। সিভিলের চিকিৎসায় কোন সাড়া না পেয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। চিকিৎসকের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে রাত আনুমানিক ১২টায় শিলচর মেডিক্যালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুমনা। এ ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এলাকার মানুষ দোষীদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি করেন। এদিকে বুধবার পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূর স্বামী সাকিল আহমেদকে গ্রেফতার করে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।