
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধাঃ নিভৃত পল্লীর শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক (৪৫)। সারাদিন হাড় ভাঙা পরিশ্রম শেষে রাতে ঘুমিছিলেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে। হঠাৎ আগুনের তাপে মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে
যায় তার। জেগে দেখেন ঘরবাড়িতে আগুনের দাপট। যেন নিমিষে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে সহায় সম্বল।
সরেজমিনে সোমবার (১৮ জুলাই) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চাচীয়া মীরগঞ্জ গ্ৰামে দেখা যায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়িটির বিভৎস্য দৃশ্য। চরম দুশ্চিন্তায় ফ্যাল ফ্যাল চোখে তাকিয়ে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্জাক।
স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার (১৭ জুলাই) রাতে ঘুমিয়ে পড়া হয়। এরই মধ্যে রাত প্রায় ২ টার দিকে বাড়িরে আরেকটি ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। যখন বাড়ির চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছিল, ঠিক তখনই আগুনের তাপে সবার ঘুম ভেঙে যায়। মুহূর্তে আগুনের তাণ্ডপে নগদ টাকা ও আসবাপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়। কয়েলের আগুন থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়েছে
বলে ধারণা করছে তারা। এ বিষষে ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পেশায় তিনি দিনমজুর। তিন মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করে আসছেন। এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার।
তিনি আরও বলেন, গভীর রাতে আগুনের তাপে ঘুম ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে আসার আগেই শোয়ার ঘরে আগুন লেগে যায়। পরে আগুন দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়লে টাকা পয়সা আসবাবপত্র সহ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন, ভিষয়টি অত্যান্ত দুঃখ জনক। আগুনে পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আল মারুফ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।