
মামুন অর-রশীদ, ঠাকুরগাঁও সদর থেকেঃ
ঠাকুরগাঁও জেলায় দীর্ঘ একমাস যাবৎ তীব্র খরা। আজ শ্রাবণ মাসের ৩ তারিখ তবুও বৃষ্টির ছিটেফোঁটা নেই। যেখানে জুলাই মাসে গড়ে ৭০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় অথচ এ বছর ১৭০ মি মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা অনাবাদি পড়ে আছে। এ বছর অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে কৃষকেরা আমন ধান রোপণ করতে পারচ্ছে না। তাই ধানের বীজতলা বাঁচানোর জন্য সম্পূরক সেচ প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। সাধারণত আমন ধানের আবাদ প্রাকৃতিক বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।
সদরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ছিট চিলারংয়ের কৃষক আব্দুল সোবহান বলেন,আমি সাড়ে সাত বিঘা জমিতে সেচের মাধ্যমে রোপা লাগিয়েছি। প্রতিদিন প্রচন্ড খরার কারণে সেচ দিতে হচ্ছে।
শিবগঞ্জ অঞ্চলের বাসিন্দা
তমিজউদদীন বলেন,প্রথমে বৃষ্টির পানিতে রোপা লাগিয়েছিলাম কিন্তু চরম খরার কারণে নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে কৃষক হামিদুর বলেন, আমার বীজতলাগুলো তাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে, এখন সেচের মাধ্যমে রোপা লাগাচ্ছি।
কৃষি শ্রমিক আবুল কালাম বলেন, প্রচন্ড গরমে মাঠে বেশিক্ষন কাজ করা যায় না। অল্প সময় পর ঠান্ডা পানি পান করছি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঠাকুরগাঁও জেলার উপ-পরিচালক আবু হোসেন মুঠোফোনে জানান, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ১,৩৭,৩৫০ হেক্টর জমিতে আমনধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে কিন্তু আজ (১৮ জুলাই) পর্যন্ত ২০,০০০ হেক্টর জমিতে আমন রোয়া লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বুধবার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু খরা মৌসুম চলছে তাই সম্পূরক সেচ ও বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আমন ধান চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এলাকাবাসির দাবি বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্পের আওতায় সকল পাম্প সচল রেখে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণ করা।