
পটুয়াখালী থেকে সংবাদদাতাঃ
পটুয়াখালীর দুমকিতে আশ্রয়ম-২ প্রকল্পের ১৭ টি ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ঘরগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মানের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিসা গ্রামে ওই ঘরগুলো তদন্ত শেষে তিনি এ নির্দেশনা দেন। পরে এ ঘরগুলো ভাঙা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। এতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে উরকাভোগীদের মাঝে।
জানাযায়, গৃহীনদের পূর্নবাসনের লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে পটুয়াখালীর দুমকীতে ঘর প্রতি২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৭ টি ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরানকে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। গত মার্চ মাস থেকে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঘরগুলো নির্মানে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তারা জানান, ১৮ ইঞ্চি মাটি কেটে নিচে গিয়ে প্রথমে সিসি ঢালাই করবে কিন্তু সিসি ঢালাই করেনি। গ্রেট বিমের নিচে ২ ফিট ১০ ইঞ্চি গাথুনি থাকার কিন্তু বাস্তবে পাওয়া গেছে দের ফিট আবার কোথায় কোথায় পোনে দুই ফিট, গ্রেট বিম থাকার নিয়ম ছিল টানা সব দিকে এবং ঘড়ের মাঝে, সেখানে মাঝের বিমটি করেনি। তাছাড়া উপরে টানা লিন্টন ঢালাই করার কথা থাকলেও সেটা করেনি করছে শুধু কাটা কাটা লিন্টেল, যেমন জানালা ও দরজার উপরে, জানালার সানসেট করে নি, দরজা জানালা খুব নিম্নমানের, ইট নিম্নমানের। এছাড়াও যে এই কাজের দায়িত্ব পালন করার কথা টেকনিক্যাল পারসন পি আই ও তিনি না থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন ত্রানের ইঞ্জিনিয়র। সে খানে পিআইওর দায়িত্ব পালন করেন তার অফিস সহায়ক আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্ত জুয়েল হাসান। তিনি পিআইওর গাড়ি ব্যাবহার করে অন্য দিকে ইউএন এর টোটাল দায়িত্ব পালন করে উপজেলা পরিষদের অলি। যেমন মালা মাল ক্রয় ও লেবার দের বিল টাকা পয়সার সমস্ত হিসাব অলি দেখে এখানে পিআইও ইউএন ও নামে মাত্র। এমনকি ৯ ইঞ্চি গ্রেড বিমের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে করছে মাত্র ৬ ইঞ্চি।
দুমকী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( দায়িত্বর প্রাপ্ত) রাজিব বিশ্বাস বলেন, আমি এর সাথে জড়িত নই।এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল ইমরান বলেন, অফিসে দক্ষ লোক না থাকায় ওলি আমাকে বিভিন্ন কাজে সহয়তা করে। ঘরগুলো ভেঙ্গে ঠিক করে নির্মান করা হবে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ডিজাউন বহির্ভূত ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ ঘরগুলো ভেঙে পুন:নির্মান করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।