
রুহুল আমিন, তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর ২য় পর্যায়ের এবং উন্নয়ন খাতের কার্যক্রমে ব্যাপক দূর্নীতির প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত সাধারণ জনগন মানববন্ধনে প্রত্যেকটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতায় ৩৪টি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করেন। মানববন্ধন শেষে সচেতন নাগরিক সমাজ কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে চেয়ারম্যানদের দূর্নীতির তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ওই স্মারকলিপির কপি থেকে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে উপজেলার অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (ইজিপিপি)’র ২য় পর্যায়ের এবং উন্নয়ন খাতের কার্যক্রমে ব্যাপক দূর্নীতির তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য দাবী জানান সচেতন নাগরিক সমাজ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসূচীর আওতায় ২ কোটি ৩৯ লক্ষ ৪ হাজার টাকা বিগত ২৮ এপ্রিল বরাদ্ধ দেয় দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তর। এরই প্রেক্ষিতে ৩৪টি প্রকল্পে এলাকার হতদরিদ্রদের দারিদ্রতা বিমোচনে নিজ নিজ এলাকার শ্রমিকদের কাজের বিনিময়ে মোবাইল সিমের মাধ্যমে অর্থ দেয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যেক ইউপি’র চেয়ারম্যানগন শ্রমিকদের সিম নিজ জিম্মায় জমা রেখে শ্রমিকের পরিবর্তে কোনও কোনও প্রকল্পে ভেকু দিয়ে লোক দেখানো আংশিক কাজ করে পুরো টাকাই আত্মসাত করেন।শ্রমিকদের অভিযোগ প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে শ্রমিকদের ডেকে ১থেকে ২শত টাকা প্রদান করেন।
মানববন্ধনে সচেতন নাগরিক সমাজের লোকজন জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কোনও প্রকল্পে সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসারগণ তদারকি করেনি। তারা আরো জানান, স্মারকলিপির কপি সদয় অবগতির জন্য দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, সচিব সহ মহা-পরিচালকের দপ্তর, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক এবং দূর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য জানার জন্য তার দপ্তরে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।