

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে পৌরপার্ক। এর প্রাচীর ঘেঁসে বসানো
হয়েছে ফুচকা-চটপটির দোকান। ঈদকে ঘিরে এই খাবার যেন খুবই জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে। এখানকার সবগুলো দোকানই উপচে পড়া ভিড়। বন্ধু-বান্ধব কিংবা
স্বপরিবারেই ঝাল জাতিয় এই খাবারের স্বাদ গ্রহণ করছে ।
সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধা পৌরপার্ক প্রাচীর সংলগ্ন দেখা যায়
সারিবদ্ধভাবে বসানো ফুচকা ও চটপটির দোকান। প্রায় ২৫ টি দোকানে এসব খাদ্য
বিক্রিতে যেনে দম ফেলানোর ফুসরত নেই ব্যবসায়ীদের। ঈদকে কেন্দ্র করে ফুচকা
ও চটপটি খেতে মেতে উঠেছে আগত তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষেরা।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধার উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পৌরপার্ক । বিনামূল্যে এ পার্কে দর্শণার্থীরা প্রবেশ করে থাকে। এখানে রয়েছে পানির ফুয়ারা, পুকুরের ঘাট, দোলনা ও কৃত্রিম পশুপাখি। মনোমুগ্ধকর এই জায়গাটিতে ঘুরতে আসেন ভ্রমণ পিপাসুরা। বিশেষ করে ঈদে দর্শনার্থীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পায়। এখানে আগত বিনোদনপ্রেমি অধিকাংশদের পছন্দের খাবার ফুচকা ও চটপটি। এবারও তা ব্যর্তয় ঘটেনি। ঈদুল আযহা উপলক্ষে উপচেপড়া ভিড় জমেছে। এর পাশে দখল করে নিয়েছে চটপটি দোকানের চেয়ারগুলো। প্রাণভরে খাচ্ছে জনপ্রিয় ওই ঝাল খাবার। বিশেষ করে নারীদের কাছে এ খাবার বেশী পছন্দনীয় বলে জানা গেছে।
পরান লক্ষীপুর থেকে আসা নোভা খাতুন নামের এক ছাত্রী জানান, কাজের তাগিদে
গাইবান্ধা শহরে প্রায়ই আসা হয়। তবে প্রত্যেক ঈদ আনন্দে ঘুরতে আসেন এই
পৌরপার্কে। এখানে অন্তত দুইবার ফুচকা-চটপটি খান তিনি।
মাহমুদা আক্তার নামের এক নববধূ বলেন, আমার বাবার বাড়ি জামালপুরে।
গাইবান্ধায় বিয়ের পর শুনেছি পৌরপার্কের ফুচকা-চটপটি খুবই সুস্বাদু। তাই স্বামী-দেবর-ননদের সঙ্গে খাবার এসেছি এখানে।
মৌমিতা চটপটি এন্ড ফুচকা হাউজের মালিক মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি
দীর্ঘদিন ধরে পৌরপার্ক প্রাচীর ঘেঁসে ব্যবসা করি। সাধারণনত অন্যান্য দিনে
বিক্রি হয় ২-৩ হাজার টাকা। তবে ঈদুল আযহা’র দুইদিনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা
বিক্রি করেছি।
গাইবান্ধা পৌরসভা মেয়র মতলুবর রহমান জানান, পার্কটি আগের তুলনায়
আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফলে নিত্যদিন দর্শনার্থীর সমাগম ঘটলেও ঈদ বা
অন্যান্য উৎসবে বিনোদনপ্রেমিদের উপস্থিতি বেশী হয়ে থাকে।