

মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কুমিল্লা:
ঈদ উল আযহায় হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলে নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়ন। এই অঞ্চলের ৭১৭ কিলোমিটার সড়ককে ভোগান্তিমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে পরিকল্পনা। ঈদ যাত্রায় ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনা ফ, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-নোয়াখালী-লক্ষীপুর, কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অতিরিক্ত ব্যবস্থাগুলো নেয়া হয়েছে। এছাড়া মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে নেয়া হয়েছে সতর্কতা। ঈদ উপলক্ষ্যে কুমিল্লা রিজিয়নে হাইয়ে পুলিশের ৫৮ টি মোবাইল টীম, ১৫ কুইক রেসপন্স টীম, ১১টি রেকার, ৬টি সাব কন্ট্রোল রুম, ৬০ জন অতিরিক্ত কমিউিনিটি পুলিশ মোতায়েনসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে মহাসড়কে।
হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, সাধারণত কুমিল্লা আঞ্চলের মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে যানজট হয় না। গত ঈদেও এই সড়কগুলোতে চলাচলকারীদের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। দুর্ঘটনাজনিত কারনে কিংবা দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় যদি যানবাহনের জটলা তৈরী হয়-সেজন্য ই হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নানান ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর টোলপ্লাজায় সাধারণ গাড়ীর চাপ বাড়লেই যানজট তৈরী হয়।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, সাধারণ টোল নেয়ার সক্ষমতার বাইরে যদি একই সময়ে বিপুল পরিমান যানবাহন সেতু পাড় হতে চায় তখনি বিপত্তি ঘটে। এটা নিয়ে আসলে সেতু কর্তৃপক্ষ ভাবতে হবে। অন্য কোথাও কোন বিপত্তি হবে না বলে আশা করছি। তিনি আরো জানান, মহাসড়কে যেন পশুবাহী যানবাহনকে কোন সমস্যায় পরতে না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাধারণ দিনে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদেও সময় এই যানবিাহনের পরিমান বেড়ে দ্বিগুণ বা তার বেশি হয়ে যায়। যে কারণে মহাসড়কের সেতুর টোলপ্লাজা এবং বাজার এলাকাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন অপসারণে দেরী হলেই যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা এবং মুন্সিগঞ্জের মেঘনা টোল প্লাজায় যানজট ঈদের সময়ের নিত্য দৃশ্য। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে এই যানজট হয়। যদিও মুন্সিগঞ্জের টোলপ্লাজা হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের বাইরে।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, যানবাহনের চাপ বাড়লে টোলপ্লাজায় যানজট তৈরী হলে কারোরই কিছু করার নেই। পুলিশ শুধু এই এলাকায় শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবং এই ঈদেও পুলিশ সচেষ্ট থাকবে।
এবার ঈদ উল আযহায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়েছে ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে। ১০ তারিখ ঈদ উল আযহা। যে কারণে মহাসড়কে টানা ঈদেও দিন পর্যন্ত চাপ থাকবে যানবাহনের।
যাত্রী ও চালকরা জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ এক সাথে রওনা হলেই মহাসড়কে চাপ বাড়বে। এতে করে কোথাও কোথাও যানজট হতে পারে। তবে যানজটের ভোগান্তি যেন দীর্ঘ ও চরমে না পৌছায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে সড়ক