
বিশাল রহমান, ঠাকুরগাঁও থেকেঃ
পবিত্র ঈদের পর কর্মস্থলে যেতে পদে পদে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে দেশের ছোট বড় অধিকাংশ পরিবহন কোম্পানিগুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকা যেতে বাড়তি দাম দিয়ে টিকেট কেনার পরেও প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগে জানা গেছে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকাগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজ তাদের আরএমটু কোচটিতে বেশী দামে টিকিট বিক্রি করছে।যাত্রীরা গাড়ীতে উঠার পর বুঝতে পারে গাড়িটির এসি নষ্ট। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা গাড়ীর কর্তব্যরত সুপারভাইজার ও চালককে অভিযোগ করলে তাঁরা গুরুত্ব না দিয়ে যাত্রীদের না পোষালে নেমে যেতে বলছে। অপরদিকে ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানি ঢাকা -ঠাকুরগাঁও রুটে তাদের বাস সার্ভিস চালু করেছে। এসব অখ্যাত কোম্পানি একটি সিট দু’তিনজনের নিকট বিক্রি করছে। এতে যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই পরিবহন কোম্পানিগুলোর কর্মচারীদের বচসা হচ্ছে। আজ বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লী থেকে একদম্পতি ূ২২শত টাকা দিয়ে দুটো টিকিট কিনে গাড়ীতে উঠে। কিন্তু গাড়ী ঠাকুরগাঁও আসলে গাড়ীর সুপারভাইজার তাদের সিট হতে উঠিয়ে দিয়ে বলে,এগুলো ঠাকুরগাঁওয়ের সিট,আপনারা দাড়িয়ে যান । সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় চরম বচসা। একপর্যায়ে গার্মেন্টসে চাকরি করা ঐ দম্পতি দাঁড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার আব্দুস সামাদকে টেলিফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি দৈনিক দেশবাংলাকে সদুত্তর দিতে না পেরে ফোনটি কেটে দেন। এ বিষয়ে মটর মালিক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন,পরিবহন সেক্টর দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকটে রয়েছে। এখন একটু যাত্রীর চাপ আছে কিন্তু সারাবছর গাড়ীর অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে আমাদের চালাতে হয়। তাই ঈদে একটু কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। যাত্রী হয়রানি নিয়ে ঠাকুরগাঁও নাগরিক অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ রায় ও সাধারণ সম্পাদক আবু মহিউদ্দিন দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন এসব অভিযোগ নিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কঠোর মনিটরিং দরকার। ঈদের পরে কর্মস্থলে যাওয়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে পরিবহন কোম্পানিগুলোর প্রতারণা বন্ধে প্রশাসনিক নজরদারির দাবি জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন জনগণ।