
ইয়ামিন হোসেন, ভোলা.
চিকিৎসার অভাবে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাজাপুরের এতিম জান্নাত বেগম (১০) তারুণ্যে কর্তব্য নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বশীল নাহিদুল ইসলাম ও সাকিল হোসেন নামের দুই স্বেচ্ছাসেবী বিষয়টি তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়েছেন সমাজের বিত্তমান মানুষের।
বাবাহীন জান্নাতের চিকিৎসার আবেদনটি নজরে পড়ে ভোলা সদর উপজেলার উত্তরদিঘলদীর কৃতি সন্তান সৌদিআরব প্রবাসী দানশীল মানবিক মানুষ আবুল কাশেম মিয়ার।
কথা বলেন সাকিল ও নাহিদুলের সাথে আশ্বাস দিয়েছেন সকল চিকিৎসার খরচ দিবেন তিনি, আল্লাহ রহমতে সুস্থ করে তুলবেন বাবাহীন জান্নাত কে।
খবরটা ছড়িয়ে পড়ে জান্নাতের পরিবারে, রেমিট্যান্স যোদ্ধা আবুল কাশেম মিয়া এগিয়ে এসেছেন তার চিকিৎসা করাতে, এ যেন এক ঈদ আনন্দ বইছে তার পরিবারে।
জান্নাতের মা রহিমা বেগম বলেন, আমি হতাশ ছিলাম যে আমার এতিম মেয়েটা মনে হয় অন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু আমাদের এলাকার নাহিদ ও সাকিলসহ যুবকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম এক প্রবাসী আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমি মন থেকে প্রবাসী ভাই ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া করি এবং আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
নাহিদুল ইসলাম জানান, আজ রবিবার জান্নাত কে নিয়ে তার পরিবার ঢাকা যাবে। আগামীকাল সকালে মোহাম্মদপুর মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রবাসী আবুল কাশেম মিয়ার অর্থায়নে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক সাংবাদিক ইয়ামিন হোসেন এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রবাসী আবুল কাশেম মিয়া বলেন, একজন এতিম মেয়ে চিকিৎসার অভাবে অন্ধ হয়ে যাবে বা কষ্ট পাবে আর আমাদের মত প্রবাসীরা টাকা ইনকাম করে ব্যাংক ব্যালেন্স করবো তাতে লাভ কি? আমার টাকায় যদি একটা এতিম মেয়ের বা একটা অসহায় মানুষের উপকারে না আসে? তাই আমি ফেসবুকে বিষয়টি দেখে কষ্ট পেয়েছি আজ হইতো মেয়েটার বাবা থাকলে ভিক্ষা করে হলেও তার মেয়ের চিকিৎসা করাতেন তাই এতিম মেয়েটির চিকিৎসার খরচ আমি বহন করবো বলে তাদের জানিয়েছি এবং সকল চিকিৎসার খরচ আমি দিবো।