
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা:
ইগলা ক্যাংকা অদ বাহে। এ্যাংকা অদ জীবনেও দেখোম নাই। মনে হয় গাও ফাঁটি গেলো। গরমের ঠেলায় গাড়ি নিয়ে আস্তাত আর থাকপার পাতিছোম না। চড়া অদোত সেংকা কামাই করা যাতিছি না। মুই একন বাড়িত যাতিছোম। এতো অদোত মোর শরিল চলতিছি না বাবা।শনিবার দুপুরে গাইবান্ধার আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন নায়েম আলী (৬৫) নামের এক ভ্যানচালক। জীবিকার তাগিদে যাত্রী বহনের জন্য রাস্তায় বেড় হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। ফলে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিনে তিনি।
জানা যায়, গাইবান্ধার প্রত্যান্ত অঞ্চলে সূর্যোদয় থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রখর রোদে পুড়ছে মানুষ-পশুপাখিসহ ফসলি আবাদ। প্রায় এক একসপ্তাহের টানা খরতাপের কবলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। প্রাণীকূল ছড়াচ্ছে তপ্ত নিশ্বাস। স্থবির হয়েছে ব্যবসা-বানিজ্য ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। রিকশা-ভ্যান চালক ও মাঠ-ঘাটের শ্রমিকরা হাঁসফাঁস হয়ে ওঠেছে। একটু স্বস্তি পেতে আশ্রয় নিচ্ছে গাছতলায়। কেউ কেউ রোজগার বাদ দিয়ে বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছে। কিন্তু সেখানেও নেই স্বস্তি। যেন হাঁপিয়ে ওঠেছে তারা। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে পড়েছে। মাত্রারিক্ত তাপদাহের কারনে খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঠিকমতো রোজগার করতে না পারায় থমকে গেছে তাদের জীবনজীবিকা। প্রাকৃতিক এই খরতাপে ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, ডায়রিয়া-নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভা দেখা দিয়েছে। সবমিলে চরম বেকায়দায় রয়েছে মানুষেরা।
শফিকুল ইসলাম নামের এক ইজিবাইক চালক জানান, জীবিকা নির্বাহে গাড়িটি ভরসা তার। কিন্তু তীব্র রোদ আর গরমের কারনে গাড়ি নিয়ে বের হতে পারছে না তিনি। ফলে সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়িয়ে।
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন আ খ ম আক্তারুজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে কিছুটা রোগ-বালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষের জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ায় ভালো।