
আবুল হাশেম, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার জেলা সংবাদ পত্র হকার সমিতির সহ-সভাপতি জহির আহামদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত জটিল সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ। চিকৎসায় খরচ বহন করতে গিয়ে জহিরের পরিবার এখন নিঃস্ব। অর্থের অভাবে ঠিকমত চিকিৎসা করাতে পারছেনা। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার শহরের ইউনিয়ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এই নিবেদিত সংবাদকর্মীর চিকিৎসা সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা মানবিক দৃষ্টিতে এগিয়ে আসলে হয়তো জীবন ফিরে পেতে পারে কিডনিজনিত জটিল রোগে আক্রান্ত জহির ।
ভোরের আলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনের শুরুতে কক্সবাজার শহরের অলিগলিতে সাইকেল কিংবা পায়ে হেঁটে ছুটে চলতেন সংবাদপত্র বিক্রেতা জহির। আশি দশকের পর থেকে এই পেশায় রয়েছে জহির। কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার (বর্তমানে পিটিআই স্কুল এলাকায় খাস জমিতে বসবাস) বাসিন্দা মৃত সুলতান আহমদ এর পুত্র জহির (৪৫)। তার রয়েছে মা, স্ত্রী, ২কন্যা, ছোট ভাইসহ ৮ সদস্যের একটি পরিবার। পত্রিকা বিক্রির পেশায় অনেকটা সুখে ছিলেন পরিবার নিয়ে। প্রতিদিন জহির কাকডাকা ভোর থেকে পত্রিকা নিয়ে ছুটতেন গ্রাহকের দুয়ারে। ঝড়-বৃষ্টি, গরম কিংবা শীত এ নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটে না। তিনি মানুষের অধিকার আদায়ের সংবাদ পৌঁছে দিলেও নিজের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশ-বিদেশের খবর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিলেও অসুস্থ হকার জহিরের খবর রয়ে গেল খবরের অন্তরালে।
জহিরের স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর হঠাৎ করে পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেছিল জহির। এ বছর জানুয়ারি মাসে চিকিৎসকের পরমার্শে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। জানতে পারে কিডনি দুটিতে সমস্যা হয়েছে। জহিরের যা ছিল তা নিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে যেতে তিনি এখন নিঃস্ব। সহকর্মীরা অনেকেই সাহায্য সহযোগিতা করেছেন কিন্তু জটিল এ রোগে প্রতিদিন ৫/৮ হাজার টাকা খরচ। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নিকট উন্নত চিকিৎসা ও পরিবারের জন্যে মানবিক সাহায্যের আকুল আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান যারা আছেন তাদের কাছেও জীবনে বেঁচে থাকার শেষ স্বপ্নে একটু সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মানবিক সাহায্যের জন্যে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল,মোবাইল নং-০১৮৬৯-৫৪৫০৪১(নগদ/বিকাশ)।