

আবুল হাশেম, জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে গত পবিত্র রমজান মাসে দিনদুপুরে চেরাংঘর নামক বাজারে প্রবাসী মোরশেদ আলি প্রকাশ বলি মোরশেদ হত্যা মামলার নথি জালিয়াতি করে ২ নং আসামি মোহাম্মদ আলি প্রকাশ মোহাম্মদ (৪৫) আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। ইতোমধ্যে জেল থেকে বেরিয়ে আত্মগোপনে থেকে দেশত্যাগের পায়তারা করছে। তিনি পিএমখালীর মাইজপাড়ার মনির আহমেদের ছেলে।
কার কোন কৌশলে আদালতের নথি জালিয়াতি করে জামিন নিলেন, আইনজীবীসহ জনমনের প্রশ্ন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে আদালত পাড়াসহ জেলা শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি অবগত হয়ে জরুরি নথি তলব করেছেন বিজ্ঞ জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, নথি জালিয়াতি করে জামিনের বিষয়টি বুধবার (১৩ জুলাই) অবগত এরপরই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। বিজ্ঞ জেলা জজ ফাইল তলব করেছেন। আসামির জামিন বাতিলসহ এমন জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত, সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্রে জানাযায়,কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে পানি সেচ প্রকল্প দীর্ঘদিন ইজারা নিয়ে চালিয়ে আসছিল মোরশেদের পরিবার। এটি ভাগিয়ে নিতে নানা অপকৌশল, ছলচাতুরি করছিল একই এলাকার মাহমুদুল হক,আলাল(ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি), জয়নাল, মালেক,কলিম উল্লাহসহ তাদের গোষ্ঠীর লোকজন। এক পর্যায়ে জোর করে তারা দখলে নেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে পৌঁছে। অবশেষে পানি সেচ প্রকল্প বিবাদের জেরে রোজাদার মোরশেদকে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যা করা হলো। এমনকি মৃত্যুর পূর্বে মোর্শেদ খুনিদের কাছে মিনতি করে বলেছিল “আমি রোজাদার যদি আমাকে মারতে হয় ইফতারের পর মারিও”।তারপরও খুনিরা ক্ষান্ত না হয়ে হত্যা করলো এলাকার জনপ্রিয় ও প্রতিবাদী যুবক প্রবাস ফেরত মোরশেদ আলী প্রকাশ বলি মোরশেদকে। ঘটনার ভিড়িও চিত্র সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তে।