

ইসমাইল মাহমুদঃ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি জনপদ পুরানবাড়ী এলাকা থেকে আহতাবস্থায় একটি তিলানাগ ঈগল উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ জুলাই সোমবার সন্ধ্যার দিকে আহতাবস্থায় বিরল প্রজাতির এই তিলানাগ ঈগলটি উদ্ধার করেন পুরানবাড়ী এলাকার লেবু-আনারস বাগান ব্যবসায়ী মো. শাহেদ আহমদ। পরে তিনি আহত তিলানাগ ইগলটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্ট্যান্ড ফর আওয়ার ইনডেনজারড ওয়াইল্ডলাইফ’র কাছে হস্তান্তর করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা তিলানাগ ঈগলটিকে শ্রীমঙ্গলস্থ বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।
বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, বিরল প্রজাতির তিলানাগ ঈগলটির পায়ে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অসুস্থ ঈগলটিকে প্রয়োজনীয় খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ঈগলটি সুস্থ হবার পর এটিকে লাউয়াছড়া বনাঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।
এদিকে একই দিন সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কোনাগাঁও গ্রামের মাসুক মিয়ার বাড়ি থেকে একটি বিলুপ্তপ্রায় লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করেছে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
মাসুক মিয়া জানান, সকালে অসুস্থ ও দুর্বল লজ্জাবতী বানটির তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় দেখতে পেয়ে তিনি এটিকে একটি খাচায় আটকে রাখেন। পরে তিনি মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটিকে খবর দেন। দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা মাসুক মিয়ার বাড়ি থেকে বানরটিকে উদ্ধার করেন। বানরটি শারীরিকভাবে দুর্বল ও অসুস্থ থাকায় এটিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্ধার হওয়া লজ্জাবতী বানরটি অসুস্থ এবং খুবই দুর্বল। বানরটিকে সুস্থতার জন্য লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে খাবার ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হলেই সেটাকে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে।