
আব্দুল কাইয়ুম (আরজু), উপকূলীয় প্রতিনিধি (পটুয়াখালী)ঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩ জন নারীর প্রত্যেকের ৫ সন্তান স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করায় রত্নাগর্ভা সংবর্ধনা ও ১০ জন গুণিমানুষকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬.৩০ পর্যন্ত ট্রাস্টের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রজতজয়ন্তী পালন, ৭ম বার্ষিক সাধারণসভা, ৩ বছরের জন্য নবগঠিত কমিটি নির্বাচন, দারুল ইহসান স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, ২০জন দাতা সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘নলেজ ইজ পাওয়ার, নলেজ ইজ ভার্চু। যদি কোনো ব্যক্তি জ্ঞান ধারণ করে সে অন্যায় করতে পারে না। তাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে, গুণিজনের স্বীকৃতিদানে এ প্রতিষ্ঠানের যে আয়োজন তা বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে সহায়ক হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, মোঃ মুতাসিম বিল্লাহ বলেন, আমাদের জ্ঞান, দান ও সেবা ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নাই।
সভাপতিত্বের ভাষণে মনিবুর রহমান খসরু বলেন, আমাদের ২৫ বছর আগে এ জায়গাটি অত্যন্ত নীচু জমি ছিলো। কিন্তু আমার মায়ের দান করা সম্পত্তিতে যখন প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা বিভিন্ন সেবামুলক প্রকল্প চালু করেছি এটি অনেক বেশি দামী জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে।’
রত্নগর্ভা হিসেবে সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন, মোসাম্মৎ রোকেয়া বেগম, মোসাঃ ছালমা বেগম, মোসাঃ সুফিয়া বেগম। গুণিজন হিসেবে সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন, পীর শাহ বশির উদ্দিন (মরনোত্তর), হাজী হোসাইন উদ্দিন সিকদার (মরনোত্তার), আলহাজ্ব মুন্সি আহমদ আলী (মরনোত্তর), আব্দুল করিম মুছুল্লি (মরনোত্তর), দানবীর মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস (মরনোত্তর), মাওলানা এ.বি.এম সাইদুর রহমান (মরনোত্তর), নুরজাহান বেগম (মরনোত্তর), আলহাজ¦ আবদুল হাই মিয়া (মরনোত্তর), মু. ফয়জর আলী মিয়া (মরনোত্তর) ও গাজী কামাল হোসেন।
জানা যায়, ইতোমধ্যে দারুল ইহসান ট্রাস্টের উদ্যোগে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও পরিকল্পনা রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালু করা, গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক সংসদ প্রতিষ্ঠা, গরীব ও দুস্থদের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয়, শিশু সদন ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করা। নারী শিক্ষা উন্নয়নে নানামূখী উদ্যোগ গ্রহণ। বেকার জনশক্তিকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা। গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য বৃত্তি প্রদান ও লিল্লাহ বোডিং প্রতিষ্ঠা করা।