
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩য় ধাপে ৬৭৩টি ঘরসহ মোট ২ হাজার ১৯০টি ঘর পেয়েছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। ১৯৯৭ সালে ১৯ মে কক্সবাজারে পাশ্ববর্তী এলাকায় ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে বহু পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলেন।
কিন্তু মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং গৃহহীন পরিবারকে পুর্নবাসনের জন্য তাৎক্ষণিক নির্দেশ দেন। ১৯৯৭ সনের “আশ্রয়ন” নামে প্রকল্পটি বর্তমানে ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায় ছিন্নমূল পরিবারকে পুর্নবাসন করা হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না তার আওতায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে আগামী ২১ জুলাই ৫২টি উপজেলা ও ২টি জেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে। তার মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলাটি জেলার মধ্যে প্রথম গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হবে। এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় ১ম ধাপে ৬১৬টি, ২য় ধাপে ৬৩১টি ও ৩য় ধাপে ৬৭৩টি ঘর প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৫৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে, ৩৫টি ঘর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে সংবাদ সম্মেলন ও মত বিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক এ্যাড. এ.বি.এম লুৎফর রাশিদ রানা, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ.কে. নাছিম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মোল্লা দুলু, জিটিভি’র জেলা প্রতিনিধি সোহেল চৌধুরী, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম, যায়যায় দিনের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আশরাফ আলী, ঢাকা প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রাজিবুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।