
আব্দুল কাইয়ুম আরজু:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যটন নগরীর মধ্যে বিদ্যমান খালটি কোনো কাজেই লাগাতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ । টুকটাক সংস্কারের মাধ্যমে খালটি যেমন নৌচলাচলের মতো উপযোগিও করা হচ্ছে না, তেমনি স্থানে স্থানে অপরিকল্পিত কালভার্ট নিমান করে গতিপথ আটকে ফেলা হচ্ছে। ফলে নিস্কাশনের অভাবে ময়লা আবর্নার ভাগাড়ে পরিনত হচ্ছে খালটি। তাছাড়া দখলদারদের কবল থেকে খাল পুনরুদ্ধার করে স্বরূপে আনা হলেও পৌরসভার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে খালের। কোন কোন স্থানে দখলদারদের কবলে খাল মৃত্যু প্রায় হয়ে পড়েছে! যে কারণে বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন ঝড়ের স্বাভাবিক পানি ওঠানামা করতে না পারার ফলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যদি জোয়ারের স্বাভাবিক পানি ওঠানামা করতে না পারে তাহলে অচিরেই পৌরসভার একমাত্র খালটি ময়লা আবর্জনার স্তূপে পরিনত হবে।
পৌরসভার মধ্যে দৃষ্টিনন্দিত এমন খালটি থাকার ফলেও এটিকে অর্থনৈতিক কোন কাজে লাগাতে পারছেন না পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তারা দাবি করছেন যদি একমাত্র খালটিতে সমান মাপে ব্রিজগুলো করা হতো তাহলে খালের মধ্যে নৌযান চলাচল করতে পারতো এবং পর্যটন কেন্দ্রে সৌন্দর্য বর্ধনে সহায়ক হত। কিন্তু খালের মধ্যে যত্রতত্র কালভার্ট করার ফলে কুয়াকাটা পর্যটন নগরীর খালটি পর্যটকদের ব্যবহারের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
কুয়াকাটা পর্যটন নগরীর ও একটি গুরুত্বপূর্ণ পৌরসভায় নাগরিক সেবা দানে দীর্ঘ ১২ বছরে মোট ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র কয়েকটি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হলেও এখন পর্যন্ত সবগুলো সচল করা যায়নি। ফলে পৌর এলাকার বাসিন্দাদের ময়লা পানিসহ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে; এতে নানারকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পৌর বাসিন্দারা। খালের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি জায়গায় রয়েছে বাঁধ দেয়া যার ফলে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না এমন অভিযোগও উঠেছে।
গত কয়েকবছর পূর্বে একমাত্র সরকারি খালটি খনন করা হলেও খালটির মধ্যে ময়লা আবর্জনার স্তুপ হওয়ার কারণে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। তবে বিশেষ করে কুয়াকাটায় অপরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনার ফলে একমাত্র খালের সংযোগস্থলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও আট্কে আছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান বলেন পৌর এলাকার যেসব বাসা বাড়ি থেকে ময়লা পানি, আবর্জনা খালের মধ্যে পতিত হচ্ছে সে সকল বর্জ থেকে রীতিমত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। খালটি দ্রুত ময়লা পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।