
আঃ আজিজ , খুলনা থেকে:
খুলনায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস উপসর্গের রোগীর সংখ্যা
জ্বর , সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে ঘরে ঘরে। এই পরিস্থিতিতে ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছে তারা। করোনা টেষ্ট করানোর জন্য অনিহা তাদের। এদিকে প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। তবে হাসপাতালে ভর্তির চাপ অনেকটাই কম ।
খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায় বল, গেল একমাস ধরে খুলনায় বাড়িতে বাড়িতে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ । তদের মধ্যে বেশীর ভাগই বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের ে শ্বাসকষ্ট না হলে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। যে কারনে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেট ইউনিটে এখনো রোগী ভর্তির চাপ পড়েনি । তবে হাসপাতালে সব কিছু আগের মতই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জানাযায় , জ্বর-সর্দি আর কাশিতে আক্রান্ত রোগীরা ঘরে বসে চিকিৎসা নিয়ে তারা মনে করছেন এতেই ভালো হয়ে যাবে। যে কারনে জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত তেমন কেউ করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাদের মধ্যে করোনা সঙক্রমনের কোন আতংকো কাজ করছেনা । তবে অধিক সচেতন রোগীরা করোনা পরীক্ষা করছেন। যাদের মধ্যে অনেকেই করোনা পজিটিভ হচ্ছে।
গ্রাম অঞ্চলের জ্বর-কাশিতে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ঔষধ নিচ্ছেন। এতেই অনেকে সুস্থ হয়েও উঠছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ রবিউল হাসান জানান, কোরবানীর ঈদের পরে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে সামান্য সর্দি, কাশি, জ্বরের রোগী হাসপাতালে আসতেছে না। যারা এসেছে তাদের টেস্ট করলে করোনা পজেটিভ হচ্ছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে বর্তমানে নানা রোগে ভর্তি আছে ১১০০ রোগী । এছাড়া করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন আছেন মাত্র ৬ জন। খুলনা সিভিল সার্জন ডাক্তার সুজাত আহম্মদ জানান, খুলনায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমনের সংখ্যা বাড়ছে । এই রোগের সংক্রমন থেকে রক্ষ পেতে হলে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করতে হবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে । সিভিল সার্জন বলেন, গেল ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০৫ জনের। এর মধ্যে ২১ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে । তাদের মধ্যে মহানগরীর ৯ , ডুমুরিয়া ১, ফুলতলা ১, রুপসা ৩ ও বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ জন ।
এদিকে সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফার্মেসিগুলোয় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে রোগীদের ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।