
মহিউদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর থেকেঃ
গাজীপুরের পিরোজালীতে নোহাশ পল্লীতে ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেছেন তার পরিবার, ভক্ত-অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীরা। লেখকের ‘নন্দনকানন’ নুহাশপল্লীতে করোনাকালের বাস্তবতায় অনাড়ম্বর আয়োজনে কবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (১৯জুলাই ) মঙ্গলবার সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশক, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারো হুমায়ূন পরিবার, তার ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তারা লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা বলেন।
অন্যপ্রকাশের প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রয়াণ দিবসের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশকেরা। এই লেখক ৫০ বছর ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে। কবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। তবে পারিবারিক সিদ্ধাহীনতার কারণে ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণ শুরু করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হুমায়ূন নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।