
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের চাহিদামত যৌতুক দিতে না পারায় নির্যাতনের পর এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছ সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বীরকুৎসা গ্রামে।
পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গৃহবধুর নাম হোসনেয়ারা খাতুন (১৭)। সে গোপীনাথ পুর গ্রামের আব্দুল মালেক মিনার মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ সদস্য পলাতক রয়েছে।
নিহতের বাবার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের পনের অক্টোবর বীরকুৎসা গ্রামের জাহেদুল ইসলামের ছেলে রানার সাথে হোসনেয়ারার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্বামী ও শ্বশুরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গৃহবধূ হোসনেয়ারা নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে দুই মাস আগে স্থানীয় ভাবে শালিশি বৈঠক বসে। বিয়ের ঘটক কাইজার রহমানসহ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নির্যাতন না করার শর্তে স্বামীর বাড়িতে গৃহবধূকে। তারপরেও যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের চাচা দেলবর রহমান জানান, ঘটনার দিন সকালে হোসনেয়ারাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার মা আমেনা বিবি মেয়ের বাড়িতে যায়। মেয়ের বাড়ি যাওয়ার পর ঝগড়া শুরু করে হোসনেয়ারার শ্বাশুড়ি। এতে জামাই ও শ্বশুরসহ সকলেই গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আমেনা বিবি মেয়েকে রেখে দুপুর ১২ টার দিকে চলে আসেন। বিকেল ৪ টার দিকে খবর পান হোসনেয়ারা বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। দেলবর রহমান আরো জানান- হোসনেয়ারাকে ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় দেখা যায়। কিন্তু ঘরের তীরের সঙ্গে শুধু ওরনা ঝুলানো ছিল।
নিহতের বাবার পরিবারের তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক করছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
যোগিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।