
এস.এম.মনির হোসেন জীবনঃ
রাজধানীর উত্তরায় টিভি দেখার নাম করে বাসায় গিয়ে ১২ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে রুবেল মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রুবেল ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার দোকানের কর্মচারী ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেল মিয়াকে প্রাথমিক জিঙাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানা হয়েছে। প্রাথমিক জিঙাসাবাদ রুবেল ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
আজ শনিবার রাতে ডিএমপি’র উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন দৈনিক দেশ বাংলাকে এ তথ্য জানান।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধায় উত্তরা পশ্চিম থানার উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় ওই স্কুলছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করেন
তার বাবার দোকানের কর্মচারী রুবেল মিয়া। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার ডিএমপি’র উত্তরা পশ্চিম থানার একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই টাঙ্গাইল সদরের একটি স্কুল থেকে ধর্ষক রুবেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একজন মোদী ও মাংস ব্যবসায়ী। বাসার পাশেই তার দোকান। সেই দোকানে গত তিন মাস ধরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো গ্রেফতারকৃত রুবেল । সেই সুবাদে বাসায় সে সব সময় আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বকেয়া আদায়ের জন্য দোকান থেকে বের হন। ওই সময় দোকানে বসেন ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা। এই সুযোগে কর্মচারী রুবেল টিভি দেখার বান করে (কথা) বলে দোকান থেকে সন্ধায় বাসায় যায়। পরে সে ওই ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে কৌশলে এবং জোরপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন রাতে দোকান থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর মা-বাবা বাসায় ফিরলে তাদের কাছে সব বলে দেয় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেছে এবং বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যান দোকান কর্মচারী ও ধর্ষক রুবেল মিয়া। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গোপনে টাঙ্গাইল সদর থেকে অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।