
মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে জমি জমার বিরোধের জেরে টুমচর এফতেদায়ী মাদ্রাসা ভেঙ্গে দেওয়ার অভিয়োগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে । এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা -শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে।
এ ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মাদরাসা কর্তৃপকক্ষ।
সরেজমিনে গিয়ে স্হানীয় লোকজন ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানান, উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের টুমচর এলাকায় ১৯৮৩ সালে এফতেদায়ী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় ১৪৫ জন শিক্ষার্থী। ও ৪/৫ জন শিক্ষক দায়িত্ব পালনে রয়েছে। কিন্তু ঐ মাদ্রাসার জমি নিয়ে একেই এলাকার হানিফ রাড়ীর ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিমের সাথে অনেকদিন ধরে দ্বন্ধ চলছিল।তারি জেরে হানিফ রাড়ীর নেতৃত্বে মোস্তফা রাড়ী ও কাইউম রাড়ীসহ বেশ কয়েকজন মিলে মাদ্রাসার টিনসেটের ঘরটি সম্পুর্নরুপে ভেঙ্গেচুরে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
মাদ্রাসাটি ভাংচুরের ফলে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে মাদ্রাসাটি ভাংচুরের ঘটনায় কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঐ মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ ইউসুফ সরদার।
মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী কান্না কন্ঠে বলে, আমাদের মাদ্রাসা ভেঙে দিয়েছে এখন আমরা পড়বো কোথায়। মাদ্রাসায় পড়ে আমি অনেক হাদীস মুখস্ত করেছিলাম।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ রজাউল করিম বলেন,যেখানে আল্লাহ তালার কিতাব পড়ানো হয়।আর মসজিদ মাদ্রাসা আল্লাহর ঘর সেই ঘর সে ভাংচুর করেছে। আরো বলেন, কোন কারন ছাড়া হানিফ ও তার লোকজন মিলে আমাদের মাদ্রাসাটি ভাংচুর করেছে ।আমাদের মাদ্রাসার মধ্যে হানিফের কোন জমি নেই। জমির সমস্ত কাগজপত্র আমাদোর নামে আছে। আমরা হানিফের বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।
মাদরাসা ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে হানিফ রাড়ী বলেন, এই মাদরাসার জমি আমার তাই আমি মাদরাসা ভেঙেছি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি মোঃ শামীম হোসেন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।