
বিশাল রহমান, ঠাকুরগাঁওঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার ঝাড়গাও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষকে টর্চার সেল ও মিনি কারাগার বানিয়ে রাতভর এক তরুণকে নির্যাতনের ঘটনা, ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লান্ছিত।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে ঝাড়গাও উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশ্ববর্তী মধ্য ঝাড়গাও গ্রামের নাইম নামের এক তরুণকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালায় গুন্জুরাহাটের মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্না, তাঁর পিতা দেলোয়ারসহ তিনচারজন দুর্বৃত্ত। সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য খবর পেয়ে নাইমের পিতাকে খবর দিলে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান। খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ ও সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে।উক্ত মিনি কারাগারে আটক নাইমের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় পুলিশের সামনেই দূবৃত্তরা নয়া দিগন্তের রুহিয়া প্রতিনিধি আপেল মাহমুদের মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি দৈনিক দেশবাংলাকে বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যও মুন্নারা কক্ষে ছেলেটিকে আটকে রাখার খবরটি আমি পরে শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে আখানগর ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশাহ বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমি পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।দৈনিক নয়া দিগন্তের রুহিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আপেল মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দূর্বৃত্তরা পুলিশের সামনেই তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। ঘটনাটি নিয়ে ভুক্তভোগীর পিতা ও সাংবাদিক আপেল মাহমুদ রুহিয়া থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন।