

মঞ্জুর আলী শাহ, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
আষাঢ়ের শেষ অথচ বৃষ্টির দেখা নেই, জমিতে পানি নেই, কোথাও জমি ফেটে গেছে।
ধান লাগানোর ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমন ধান লাগাতে বিলম্ব হচ্ছে কৃষকের।
প্রায় ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও বৃষ্টির দেখা নেই ধানের জেলা দিনাজপুরে। তীব্র রোদের সাথে যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সর্দি জ্বরের রোগীর, বলা চলে গ্রাম মহল্লা পেরিয়ে বাড়িতে বাড়িতে চলছে জ্বর সর্দিকাশি রোগীর সংখ্যা।
ডক্টর চেম্বার গুলোতে যে কোন সময়ের চাইতে কয়েকগুণ রোগী বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু বা অল্প বয়সী রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বাজারের দোকান গুলোতে প্যারাসিটামল ওষুধের সংকট কোথাও কোথাও কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল বিকেলে শহরের জোড়া ব্রীজ এলাকায় শিশু চিকিৎসক ওয়াহেদুল ইসলামের চেম্বারের সামনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইন।
সেখানকার ম্যানেজার জানালেন ঈদের ছুটিতে হঠাৎ কয়েকগুণ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে, এমন কি ঈদের দিনেও চেম্বার করেছেন ডাঃ ওয়াহেদুল ইসলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগী বেড়েছে কয়েকগুণ, যাদের মধ্যে অধিকাংশ কম বয়সী।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ তোফাজ্জল হোসেন জানান, এমাসের ১৫ তারিখের আগে বৃষ্টির সম্ভবনা কম,তবে ১৫ তারিখের পরে বৃষ্টি হবার সম্ভবনা রয়েছে।
বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তীব্র রোদ আর ভ্যাবসা গরম চলমান থাকবে।
আমাদের উপজেলা প্রতিনিধীদের তথ্যমতে জেলার ১৩ টি উপজেলায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।
সরকারি বেসরকারি হসপিটালগুলোতে বিগত দিনের তুলনায় কয়েক গুন রোগী বেড়েছে।
এর সাথে সাথে যোগ হয়েছে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা অতিরিক্ত লোকজন, তবে ঈদের দুইদিন আগে থেকে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং না থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
হঠাৎ অতিরিক্ত চাহিদার কারণে ওষুধের দোকান গুলোতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে, কোথাও পাওয়া গেলে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত দাম।
বিশেষ করে বেক্সিমকো কোম্পানীর নাপা ওষুধ বাজারে নেই বললেই চলে।