
বগুড়া ব্যুরোঃ
তুরস্কে ভূমিকম্পের পর নিখোঁজ বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকুকে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাত পৌণে ১১টায় গোলাম সাঈদ রিংকুর পরিবারের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত তার ছোট ভাই রিফাত। গোলাম সাঈদ রিংকু বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দেওনাই গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহলী সাবারিন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। রিংকুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রিংকুর ছোট ভাই রিফাত মুঠোফোনে জানান, রিংকুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে রিংকু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রিংকুর জীবিত থাকার বিষয়টি সেখানে থাকা বাঙালীদের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে তার সাথে ফোনে বা ভিডিও কলে কথা হয়নি।
এরআগে মঙ্গলবার বিকেলে রিংকুর নিখোঁজ হওয়ার খবরে তার বাড়িতে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
রিংকুর পরিবার সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ শুক্রবার মাগরিব নামাজের পর তার মায়ের সাথে কথা বলেছে। এরপর তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গতকাল (সোমবার) টেলিভিশনে তুরস্কের খবর জানতে পারেন। তারপর ছোট ছেলে রিফাতকে খবর নিতে বলেন রিংকুর। কিন্তু রিফাত যোগাযোগ করার করলেও পারেনি বলে জানান। রিংকু ২০১১ সালে কাগইল করুনাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তারপর বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কলেজ থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর তুরস্কে চলে যান। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্ট টাইম চাকরিতে প্রবেশ করেন। রিংকু সর্বশেষ ২০১৮ সালে দেশে এসেছিলেন।