
সোহেল সামিঃ
রাজতন্ত্র বিরোধী নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল কাশোগীকে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে ডেকে এনে হত্যা করা হয়। সেই লোমহর্ষক ঘটনা সবার জানা। হত্যার মোটিভ লুকাতে, মৃতের শরীর টুকরো টুকরো করে কেমিকেল দিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেওয়া হয়। ঘটনার সাথে সৌদি প্রিন্স সালমানের জড়িত থাকার একাধিক প্রমানও মেলে। আমেরিকার যে বুড়ো প্রেসিডেন্ট আজ সৌদি ভ্রমন করছেন, সালমানের আতিথিওতায় গদগদ, সেই একদিন নির্বাচনের মঞ্চে দাড়িয়ে আমেরিকার জনগনকে কথা দিয়েছিলেন, এই নৃশংসতার সঠিক বিচার করবেন, বিশ্বে মানবাধিকার ফিরিয়ে আনবেন। মানবাধিকারের সুবাস ছড়িয়ে প্রেসিডেন্ট আজ সেই সালমানেরই অতিথি। শুধু কি অতিথি, তার চেয়েও বেশি কিছু! ইরান বিরোধী জোটে সালমান এখন আমেরিকার অন্যতম প্রধান বন্ধু। বন্ধুত্বের নমুনা হিসেবে ইতিহাসে এই প্রথম সৌদি আকাশে বিনা বাধায় উড়ে বেড়াবে ইসরায়েলি কপ্টার। উড়ে উড়ে নিয়ন্ত্রণ করবে, মনিটরিং করবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে রাশিয়ার ওপরে নানাবিধ অবরোধ আরোপ করে পশ্চিমা বিশ্ব। নিমিষে জালানিসহ নিত্যপন্যের অভাব দেখা দেয় বিশ্বে, দাম বেড়ে যায় হুহু করে। নিজেদের অভাব পুরনে, যদি সৌদিআরব থেকে তেল নেওয়া যায়, ভালোই হয় বৈ কি!
এদিকে তেলের তোড়ে ভেসে যায় মার্কিনিদের মানবাধিকার, বুড়ো প্রেসিডেন্টের গনতন্ত্রের গালভরা বুলি। এটা বলতে বাঁধা নেই আজ, আমেরিকার মানবাধিকার, গনতন্ত্র, অন্যদেশগুলোর ওপর ছড়ি ঘোরানোর একটি হাতিয়ার মাত্র, নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির টোপ ছাড়া কিছুই নয়।