
ফজলুর রহমান ও আল ফয়সাল অনিক, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও থেকেঃ
আজ সোমবার (১৮জুলাই) দুপুরে হরিপুর মহিলা কলেজ মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।
হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নগেন কুমার পালের সভাপতিত্বে এসময় সম্মেলনের প্রধান অতিথি সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও এক আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, হোসনে আরা লুতফা ডালিয়া, ঠাকুরগাঁও ২ আসনের এমপি আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বাবলু,সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, মাজাহারুল ইসলাম সুজন,প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন,উপ-প্রচার সম্পাদক আবু সাইদ সোহেল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশু দত্ত টিটো, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যাসহ বিপুল সংখ্যক জেলা নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সম্মেলন ঘিরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি তোরণ। সাঁটানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টার।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামীম ফেরদৌস টগরকে কাউন্সিলর তালিকা হতে বাদ দেওয়ায় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শামীম ফেরদৌস টগর তাঁর হরিপুরের বাসভবনে দৈনিক দেশবাংলাকে তার প্রতিক্রিয়ায় জানান দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি জামাতের লোকদের কাউন্সিলর তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা দূর্ভাগ্যজনক।তিনি আরও বলেন কাউন্সিলে আমাকে দিয়ে সামান্য আমন্ত্রণ পত্র দেওয়ার সৌজন্যতাটুকু দেখাননি সম্মেলনের আয়োজকরা। তবে কি হরিপুরের রাজনীতিতে অধ্যক্ষ শামীম ফেরদৌস টগর ধীরে ধীরে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন -দৈনিক দেশবাংলার এমন এক প্রশ্নের জবাবে টগর বলেন,রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আর কে প্রাসঙ্গিক আর কে অপ্রাসঙ্গিক এ প্রশ্নের উত্তর ভবিষ্যতই বলে দিবে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করে আজকের জায়গায় এসেছি। ২০০১ সালের মতো দূঃসময় আসলে বোঝা যাবে দলে কার প্রয়োজন আছে আর কার প্রয়োজন নেই। সম্মেলন স্থলে গিয়ে টগর সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে কাউন্সিলর তালিকা হতে কৌশলে টগর সমর্থকদের বাদ দিয়ে বিএনপি জামাতের লোকদের রাখা হয়েছে। অপরদিকে টগর বিরোধী পক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হরিপুর বাজারে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে টগরকে কাউন্সিলর করলে আজকের সম্মেলনে সভাপতি পদে তাঁর বিজয় নিশ্চিত থাকায় কৌশলে কাউন্সিলর তালিকা হতে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রতি তিন বছর পর সম্মেলন করার কথা থাকলেও নানা টানাপোড়েনে সেই সম্মেলনটি হয়নি। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মোট ২৬১ জন কাউন্সিলর থাকবেন। তাদের মাধ্যমে হরিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশন চলছিল।