
মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার সদরে মৃতঃআহম্মদের ভাড়া বাসায় স্বপরিবারে বসবাস করতো,সেখান বসবাস রত অবস্থায় রবিউল ইসলাম তার অপরাধ জগতের জাল বিস্তার করে এ প্রতারককে অতি দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হোক। ঢাকা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ২০০৭ সালে ফকিরহাট উপজেলার জারিয়া গ্রামের ছোট কাজী কে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ১৫০০০( এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা)হাতিয়ে নেয় শুধু তাই নয় অপর এক মটর ম্যাকানিক আকরাম হোসেনের সাথে দোকানে পার্টনারশিপ ব্যাবসা করবে বলে ৪৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম।
গত কয়েকদিন আগে দুবাইতে তার জুয়েলারি দোকান উদ্বোধনে গিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাবিক আল হাসান, হিরো আলমসহ অনেকে। ওই জুয়েলারি শপ উদ্বোধনের ঘটনায় একে একে আরভ খানের নানা অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় তার নাম, ছবি ও পরিচয় সংযুক্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে।২০১৮ সালের ৭ জুলাই পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যাকাণ্ডের আসামি এই রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লা। রাজধানীর বনানীতে তার অফিসে এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছিল। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তীতে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান তিনি।
ফকিরহাটবাসী জানান, আমাদের এখানে রবিউল ইসলাম আপন চিনে আর কেউ রবিউল ইসলাম রবি বলে চিনে এখন টিভিতে দেখি তার নাম আরাভ খান হয়েছে, তবে ও অনেক মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০০৮ সালে ও রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে পালিয়ে যায় তার পরে শুনছি ও নাকি ঢাকা থাকতো এখন আবার অনেক কিছু শুনছি ওকি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে এতো সম্পদের এই পাহাড় কি ভাবে করলো..? কি ভাবে রাতারাতি টাকার কুমির হলো…? কি ভাবে দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী হলো…? বিষয়টি আশ্চর্যজনক।
ডিবি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১২টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। মামলা রয়েছে, চার্জশিট রয়েছে। ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলাপ করে ইন্টারপোলের সহয়তায় রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আশুতিয়া গ্রামের দিনমজুর মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে সোহাগ মোল্লাই আরাভ খান। মতিয়ার রহমান মোল্লা এক সময় চিতলমারী উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাঁড়িপাতিল বিক্রি করতেন। ১৯৮৮ সালে রবিউল ইসলামের জন্ম হয়। গ্রামের বেশিরভাগ লোক তাকে সোহাগ মোল্লা নামেই ডাকতেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় রহমত উল্লাহ এবং রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সেখানে রবিউল ইসলামকে পলাতক উল্লেখ করা হয়। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তার নাম লেখা হয়েছে রবিউল ইসলাম রবিউল। বয়স ৩৫ বছর। জাতীয়তা দেখানো হয়েছে বাংলাদেশি। তার জন্মস্থান বাগেরহাটে।
ভুক্তভোগী সহ একালার সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত এই মোস্ট ওয়ান্টেড রবিউল ইসলাম অরফে আবার খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্ত মূলক সাজা আওতায় আনা হোক।

