
সজীব আকবরঃ
অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে “দুর্গম পথে স্বপ্নিল যাত্রা” শুরু করলো রণাঙ্গনের মুখপত্র দৈনিক “দেশবাংলা”। তবে যাত্রা শুরু না বলে দ্বিতীয় যাত্রা বলাটাই মনে হয় সমীচীন। তবে এ শুধু নিছক যাত্রা নয়-এটি যুদ্ধযাত্রা। আর এ যুদ্ধযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশসেরা সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী বিভাগের প্রধান শীর্ষস্থানিয় তারকা সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন।
মূলতঃ উত্তাল রণাঙ্গনে মুক্তিরবাণী দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিতেই শুরু হয় দেশবাংলার পথচলা। শুরুতে পত্রিকাটি তৎকালীন সময়ের তুখোড় ছাত্র নেতা ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ভিপি ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে সময় হাতেগোণা কয়েকটি পত্রিকা ছিলো যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষকে দেখাতো স্বাধীনতার স্বপ্ন। স্বাধীন বাংলায় এরপর পত্রিকাটি দৈনিক হিসেবে চালু ছিলো। এরপর এ পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক সম্পাদক ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী প্রয়াত হওয়ার পর পত্রিকাটির প্রকাশনা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। মাঝে পত্রিকাটি একেবারেই থমকে যায়। আর এবার সেই মৃতপ্রায় দেশবাংলাকে উজ্জীবিত করে গোটা দেশকে আলোয় উদ্ভাসিত করার মহান ব্রত নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন বারবার রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারে ভূষিত হাজারো সাংবাদিকদের আইডল তারকা সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন দাদাভাই।
দেশবাংলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
গতানুগতিক ধারায় শুধু বিজ্ঞাপন নির্ভর না হয়ে দেশবাংলা হাঁটতে চায় একটু ভিন্ন আঙ্গিকে।তাই প্রথমেই আগামী তিন মাসের মধ্যে পত্রিকাটির মালিকানা বন্টন করতে চায় স্থায়ি প্রতিনিধিদের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়- মালিকানা বন্টনের সাথে সাথে প্রত্যেক প্রতিনিধি যেমন নিজেকে ভারমুক্ত রাখবেন তেমনি অন্যান্য প্রতিনিধিদের স্বার্থ রক্ষায় নিরলস পরিশ্রম করে যাবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি। আমরা আরও চাই আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের সর্বকনিষ্ঠ সহযোদ্ধার সম্মানীও যেনো কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা নিশ্চিত করতে পারি। আর এভাবেই সাংবাদিকদের মালিকানায় সাংবাদিকদের ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায় দৈনিক “দেশবাংলা”।
দেয়াল পত্রিকায় বিপ্লব ঘটাতে চায় দেশবাংলাঃ
৬৪ জেলাতে দেয়াল পত্রিকার মাধ্যমে বিপ্লব ঘটাতে চাই দেশবাংলা। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন যে, “থানায় থানায় প্রতিনিধি নেবেনা দেশবাংলা” এই ঘোষণার পরও আমরা প্রতিটি জেলাতেই কমপক্ষে ৪/৫ জন করে প্রতিনিধি রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। তাই ছোট ছোট জেলাগুলোতে প্রতিনিধির সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে ওই সব এলাকায় বিভাগীয় প্রধান/ আঞ্চলিক প্রধান/ সমন্বয়কবৃন্দ প্রতিটি কাজে সামনে থেকে নেতৃত্ব ও প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহণের সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবেন।
স্ব স্ব জেলায় সংযুক্ত সকল প্রতিনিধিবৃন্দ শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য আবেদন করে না পেয়ে হতাশ হয়ে যাবেন–এটি আমাদের কাম্য নয়। আমরা চাই প্রত্যেক এলাকার প্রতিনিধিবৃন্দ তাঁদের নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ওয়াল পেপারিং বা দেয়ালে পত্রিকা লেপ্টে সেটি পাঠকদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন। ওই পত্রিকা যেসব দেয়ালে লাগানো থাকবে সেখানে প্রত্যেকটি দেয়ালে কোনো প্রতিষ্ঠান/ ব্যক্তি/ সমাজসেবক/ জনপ্রতিনিধি/ রাজনীতিবিদ/ যুবনেতা/ ছাত্রনেতা/ কলকারখানা/ ব্রিকফিল্ড বা ইচ্ছুক ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা ‘স্পন্সার’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যাতে করে যারা ওই স্থানে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পাঠ করবেন তারা যেনো সহজেই বুঝতে পারেন যে এই পত্রিকাটি অমুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে পড়বার আয়োজন করা হয়েছে। এভাবে প্রতি জেলাতে কমপক্ষে ১০০টি পয়েন্ট চুড়ান্ত করতে হবে। প্রতিটি পয়েন্টের জন্য নূন্যতম ৫০০ টাকা মাসিক বিল ধার্য করা যেতে পারে।
এখন আপনার কাছে যে বিষয়টি অবাস্তব বা অসম্ভব মনে হচ্ছে একদিন দেখবেন ওই ১০০ পয়েন্টের টার্গেট আপনার কাছে কতোটা নস্যি মনে হয়। মনে রাখতে হবে বিন্দু বিন্দু জল থেকেই মহাসিন্ধু রচিত হয়। তেমনই দেশবাংলা ওয়াল রিডিং পয়েন্টের বিপ্লব ঘটে যাক দেশজুড়ে, গড়ে উঠুক নতুন পাঠক সমাজ। আপনিও গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন সর্বোচ্চ পাঠ হওয়া পত্রিকা হচ্ছে দেশবাংলা। কারণ একেকটি ওয়াল রিডিং পয়েন্টে আপনার সংবাদ কিংবা দেশবাংলা পত্রিকাখানা কতজন পাঠক যে পাঠ করছেন তা হয়তো গুণে রাখাও কঠিন হয়ে পড়বে।
যারা গর্বিত দেশবাংলার জন্য, যাদের জন্য আমরা
আমরা আগেই বলেছি গতানুগতকি সংবাদের পিছনে ছুটবেনা দেশবাংলা। ব্যতিক্রম ও ভিন্ন কিছু উপহার দিতেই সচেষ্ট থাকবে টিম দেশবাংলা।সে উদ্দেশ্য লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ইতিমধ্যে দেশবাংলার সাথে যুক্ত হয়েছেন বরেণ্য সাংবাদিক ইনকিলাব পত্রিকা খ্যাত তারকা সাংবাদিক রেজাউল ওয়াদুদ, আমাদের সময় খ্যাত সাহসী ক্রাইম রিপোর্টার প্লাবন সরকার, তারুণ্যের আইডল খ্যাত মেধাবী সাংবাদিক সোহেল সামী, রাজধানীর আলোচিত সাংবাদিক ও লিডার বিট সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, সিইও হিসেবে আমরা পেয়েছি প্রতিবাদী মানবাধিকার নেত্রী সেহলী পারভীন, কক্সবাজার আঞ্চলিক প্রধান মহীরুহ সাংবাদিক র্সবজন শ্রদ্বেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল কাদের চৌধুরী। তিনি তাঁর বয়স ও সার্মথ্যকে পাশে ঠেলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে দেশবাংলার জন্য এনে দিয়েছেনে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের সংমশ্রিণে গড়া “টিম কক্সবাজার”। তাঁর সমন্বয়ে ও দিক নির্দেশনায় ইতিমধ্যে সংযুক্ত হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি এম কে আলম চৌধুরী ও জেলা প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন আবুল হাশেম।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ইতিমধ্যে দেশবাংলায় যুক্ত হয়েছেন তারকা সাংবাদিক কামাল পারভেজ।
চট্টগ্রামে সমন্বয়ক হিসেবে ইতিমধ্যে যুক্ত হয়েছেন সাংবাদিক নেতা গোলাম র্মতূজা ও রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত আছেন কামাল হোসেন। এছাড়া চট্টগ্রামে অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে একটি চৌকস পেশাদার টিম।
বৃহত্তর কুষ্টিয়া আঞ্চলিক প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক নেতা মুজিবুল শেখ। তাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম তন্ময়। মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি আকতারুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করবেন খ্রীস্টোফার মিথুন মন্ডল।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়ক হিসেবে দেশবাংলায় রয়েছেন সাংবাদিক নেতা মেরাজ উদ্দিন। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বে ইতিমধ্যে দেশবাংলায় স্টাফ রিপোর্টার ( ময়মনসিংহ ) হিসেবে যুক্ত আছেন মোঃ মোখলেছুর রহমান। শেরপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে মনরিুজ্জামান মনির। নকলা-নালিতাবাড়ী ভিআইপি আসন থেকে যুক্ত হয়েছেন আমিরুল ইসলাম। নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি রয়েছেন মলয় রঞ্জন সরকার।
বৃহত্তর দিনাজপুর আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে ইতিমধ্যে দেশবাংলায় যুক্ত হয়েছেন তারকা সাংবাদিক বিশাল রহমান। তাঁর সমন্বয়ে দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মঞ্জুর আলী শাহ। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে দায়িত্ব পালন করবেন সুলতান মাহমুদ। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধির দায়িত্বে আছেন আব্দুর রাজ্জাক বাপ্পি ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাফজিুর রহমান।
এছাড়া আঞ্চলিক প্রধান বিশাল রহমানের নতেৃত্বে এখানে রয়েছে অভজ্ঞিতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণে গড়ে তোলা একটি শতভাগ পেশাদার টিম।
বরিশাল ব্যূরো প্রধান হিসেবে ইতিমধ্যে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন নির্যাতিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদ নোমানী। তাঁর সমন্বয়ে গড়া এই বরিশাল টিমে রয়েছেন পটুয়াখালী প্রতিনিধি নয়ন মৃধা। ঝালকাঠির জেলা প্রতিনিধি রয়েছেন রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু। পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দেশবাংলায় যুক্ত আছেন মৃদুল আহমেদ সুমন। এছাড়াও এখানে ব্যূরো প্রধান মামুনুর রশিদ নোমানীর নেতৃত্বে একটি সুশৃঙ্ক্ষল র্পূণাঙ্গ সাংবাদিক গ্রুপ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন।
দেশবাংলার টিম ভোলা থেকে সমন্বয়ক হিসেবে যুক্ত আছেন তুহিন খন্দকার। এ টিমের অন্যান্যদের সাথে ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তরুণ পরিশ্রমী সাংবাদিক ইয়ামিন হাওলাদার।
ইতিমধ্যে যশোর ব্যূরো প্রধান হিসেবে দেশবাংলায় যুক্ত আছেন এ.এইচ.এম জিয়াউল হক ও বেনাপোল থেকে যুক্ত হয়েছেন নজরুল জুয়েল।
টিম গাজীপুর থেকে একঝাঁক ক্ষুরধার লেখনী সমৃদ্ধ সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টাফ রিপোর্টার পদর্মযাদায় তুহিন সরোয়ার।
স্টাফ রিপোর্টার পদর্মযাদায় ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল থেকে যুক্ত হয়েছেন নওশাদ রানা সানভী।
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের সহযোদ্ধা হিসেবে যুক্ত আছেন আব্দুল কাইয়ূম।
রংপুর ব্যূরো প্রধান হিসেবে দায়িত্বে পালন করছেন শাহ বায়েজীদ আহমদে। তাঁর নেতৃত্বে রংপুর জেলা প্রতিনিধি এস এম ইকবাল সুমন, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মো: মাসুদ রানা রাশেদ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি তোফায়েল হোসেন জাকির, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি বিজয় চক্রবর্তী কাজল ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ভূবেন কুমার ছাড়াও রংপুর ব্যূরো প্রধানের নেতৃত্বে তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে রয়েছে একটি পেশাদার টিম।
এছাড়া বরণ্যে সাংবাদিক আবু কাওসার মাখনকে রাজশাহী ব্যূরো প্রধান করে গড়ে তোলা হয়েছে টিম রাজশাহী। রাজশাহীতে রয়েছেন জেলা প্রতিনিধি মো: হৃদয় খান ছাড়াও তারুণ্য ও অভজ্ঞিতার সংমশ্রিণে গঠিত একটি অলরাউন্ডার রাজশাহী টিম।
তাছাড়া নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত আছেন শিক্ষক নেতা গোলাম মর্তূজা।
আসলে কে আছে আর কে নেই বিষয়টি মূখ্য নয়। আর এখানে সব নাম লেখাও হয়নি। তাই যাদের নাম বাদ পড়েছে মানে তারা আমাদের কেউ নয় এমনটি ভাবার অবকাশ নেই । আমাদের তথা দেশবাংলা পরিবার বিশ্বাস করে অভিজ্ঞতা তারুণ্যের শক্তিতে বলিয়ান দেশ বাংলার এই মেধাবী টিম মা মাটি ও মানুষের কল্যাণে জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই করে যাবে।