
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আদালতের কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা না থাকার পরেও ভাড়াটিয়া মালিককে বের করে দিয়ে চলমান দোকানে (ফার্মেসী) তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দোকানটি দখলে নেওয়ার চেষ্টাকারী পক্ষও। শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারটার দিকে পৌরশহরের সরকারি হাসপাতাল সড়কের জারিন ফার্মেসীতে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর দোকান মালিক সাহাব উদ্দিন গং সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এতে লিখিত অভিযোগে মালিকপক্ষ দাবি করেছেন- স্থানীয় জালাল আহমদকে দোকানঘরটি ভাড়া দেওয়া হয় পাঁচ বছরের চুক্তিতে। পরবর্তীতে মেয়াদ শেষ হওয়ায় তার কাছ থেকে দোকান বুঝে নেন মালিকপক্ষ। এর পর সেই দোকান নতুন করে ভাড়াটিয়া নিযুক্ত করা হয় রোকন উদ্দিন লিটনকে। দ্বিতীয় ভাড়াটিয়া সেখানে জারিন ফার্মেসী নামে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করে শনিবার সকালে থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে ভাড়াটিয়া মালিক রোকন উদ্দিন লিটনকে দোকান ছেড়ে বের হয়ে যেতে বলেন। এর পর মূল মালিক সাহাব উদ্দিন গং খবর পেয়ে সেখানে গেলে পুলিশের সাথে বাদানুবাদ হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ তাদেরকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেন।
দোকানের মূল মালিক সাহাব উদ্দিন গং আরো অভিযোগ করেছেন- প্রথম ভাড়াটিয়া জালাল আহমদ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাদের দোকানঘরটি বার বার জবর-দখলের চেষ্টা করে। এমনকি ইতোপূর্বে পুলিশকে ব্যবহার করে মালিকপক্ষ সাহাব উদ্দিনসহ পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করে দীর্ঘদিন জেল খাটান। একইভাবে পুলিশকে ব্যবহার করে নতুন করে তাদের দোকানঘরটি জবর-দখলের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মালিককে দোকান থেকে বের করে দেওয়ার সময় এক পুলিশ অফিসার (এসআই) হুমকি দেয় মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়ার। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছি।
দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিতে আসা চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সেলিম দাবি করেছেন- এই দোকানটি ঘিরে দুইটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলতেছে। তাই যে কোন সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় পুলিশ দোকানটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে যাতে পরিস্থিতি শান্ত থাকে।
বিষয়টি প্রসঙ্গে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘বিরোধীয় দোকানঘরটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। এনিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’