
আসাম প্রতিনিধি, সুজন চক্রবর্তীঃ
ভারতের আসামরাজ্যের করিমগঞ্জজেলার পাথারকান্দি ইছাবিলের উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনের বুলডোজার গুড়িয়ে দিল আরও ৭০টি দোকানসহ বসতবাড়ি। গৃহহীন হলেন কয়েক হাজারের লোক। রবিবার দ্বিতীয় দিনে একই কায়দায় ইছাবিল ও ইছারপার মৌজায় বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ চালিয়ে দোকান গৃহসহ মোট ৭০টি বসতবাড়ি গুড়িয়ে দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি এদিন সার্কল প্রশাসনের পক্ষে বেদখলমুক্ত স্থানগুলোতে সরকারিভাবে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড ও লাগিয়ে দেওয়া হয়।
দু’দিনের অভিযানে এলাকার কয়েক হাজারের লোক গৃহহীন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের আর্তনাদে কেঁপে উঠল কটামনি এলাকার আকাশ বাতাস। প্রশাসনের এহেন অভিযানে এলাকার একাংশ জনগন খুশি ব্যক্ত করলেও অনেকে প্রশাসনের এমন হটকারি সিদ্ধান্তে নারাজ ও স্থানীয়রা ভূমিহীন ব্যক্তিদের পুর্নবাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। এদিকে প্রথমদিনের অভিযানে অনেকে নিজেদের ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রশাসনিক কর্তাদের দেখালে তা গ্রাহ্য হয়নি।
কিন্তু রবিবারের চলা অভিযানে অনেকের কাগজপত্রকে মান্যতা দেয় প্রশাসন। ফলে উচ্ছেদের হাত থেকে রক্ষা পান একাংশ জনগন। এনিয়ে এলাকার সচেতন মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একাংশ ভুক্তভোগীদের কথায় একনেতার ইশারায় দেখে দেখে উচ্ছেদ করছে প্রশাসন। এদিকে অভিযান শেষে সিও অর্পিতা দত্ত মজুমদার জানান,গণ অভিযোগের ভিত্তিতে যাবতীয় আইনকানুন মেনে দীর্ঘ দেড়মাস সময় ধরে জবরদখলকারীদের দফায় দফায় অবগত করে শেষে বাধ্য হয়ে সরকারি নির্দেশে ইছাবিল বাগানের জমি জবরদখল মুক্ত করতে প্রশাসনকে উচ্ছেদ অভিযানে নামতে হয়।
এতে প্রশাসনের পক্ষে কারও সঙ্গে কোন অন্যায় অবিচার করা হয়নি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ইছাবিল প্রথম পর্যায়ে চলিত দু’দিনের উচ্ছেদ অভিযান সফল হয়েছে। ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।