
মো. সফর মিয়া, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে শাহপুর খেলার মাঠে কর্মী সমাবেশ ২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে। প্যান্ডেলের কাজও শুরু হয়ে গেছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল, সভাপতিত্ব করবেন রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবদুর রউফ তুহিন।
অপর দিকে একই স্থানে একই সময়ে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন শাকিল ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা ভিপি মারুফ। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
রতনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবদুর রউফ তুহিন বলেন, আমি তো নিজে নিজেই আহবায়ক হয়নি, উপজেলা কমিটি আমাকে আহবায়ক বানিয়েছে। ২০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দিয়েছে, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট দেশ গড়ার লক্ষে দলের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে আমরা দলের জন্য কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতাদের সাথে পরামর্শক্রমে আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে শাহপুর খেলার মাঠে ১১ ফেব্রুয়ারী কর্মী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রচার প্রচারণা চলছে। মাঠে প্যান্ডেলের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারী শাহপুর মাঠে অন্য কেউ সমাবেশে ডেকেছে বলে আমি শুনি নাই।
এ বিষয়ে ভিপি মারুফ বলেন, আমাদের কমিটি এখনো রানিং আছে। গত কাউন্সিলে আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাউন্সিলর হয়ে ছিলাম, আমার স্বাক্ষরে এই ইউনিয়নের কাউন্সিলরের তালিকা তৈরি হয়েছিলো। আমাকে না জানিয়ে আমার ইউনিয়নে সভা করার বিষয়টি লজ্জা ও অপমান জনক। আমরা ১১ ফেব্রুয়ারী শাহপুর খেলার মাঠে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি।
দুই নেতাকে সামনে রেখে মুখোমুখি অবস্থানে দুই গ্রুপ, একই স্থানে একই সময়ে দুটি গ্রুপের সভা আহবানকে কেন্দ্র করে এলাকায় ও দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, যারা আগে সভা আহবান করেছে তাদের সভা তারা করুক। পরে যারা ঘোষণা দিয়েছে তারা একদিন পরে করুক। তা না করে একটি ইউনিয়নের সভাকে কেন্দ্র করে নিজেদের শক্তির মহড়া দিতে গিয়ে পাল্টাপাল্টি সভা আহবান করে যে খেলা নেতারা শুরু করতে যাচ্ছেন, তাতে দলীয় নেতা কর্মীসহ দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আগামী নির্বাচনে দলে নিশ্চিত প্রভাব পরবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, হয়তো এই সভাকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদল ও মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি’র দুই গ্রুপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে এবং সংঘাতের দিকে চলে যাবে রাজনীতি। নষ্ট হবে নবীনগরের দীর্ঘদিনের সম্প্রীতির রাজনীতির গৌরব।