
পটুয়াখালী থেকে সংবাদদাতাঃ
পটুয়াখালীতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে
কোরবানীর পশুর হাট। প্রতিটি বাজারে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
চলছে বেচা কেনা। তবে বাজারে আসা ক্রেতাদের কাছে দেশী জাতের গরুর
প্রতি বেশি চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা ভিন্ন
ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার বিভিন্ন খামারে ১ লাখ ৩৪
হাজার গরু ও ছাগল লালন পালন করা হয়েছে। তবে চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২৮
হাজার পশুর। এসব পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য জেলার ৮ উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৮২ টি পশুর হাট বসেছে। জেলার এসব হাটগুলোতে জাল
নোট শনাক্তকরনসহ নিরাপত্তার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন।
সরিজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার জেলার কলাপাড়া ও মহিপুরে
সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসেছে। এদিকে শহর ছাড়া গ্রাম গঞ্জেও বসেছে
হাট। জেলার সকল হাটেই গরু, ছাগল ও মহিশের পাশাপাশি রয়েছে ভেড়া।
ক্রেতাদের বেশি আকর্ষন লক্ষ্য করা গেছে দেশি জাতের গরুর প্রতি। তবে
এবছর বাজারে বিদেশী জাতের তেমন গরু লক্ষ্য করা যায়নি। খামারিদের দাবি
পশুর ন্যায্য দাম বলছেনা ক্রেতারা। আর বিক্রেতাদের দাবি খামারীরা বেশি দাম
হাঁকছেন।
মহিপুর বাজারে আসা গরু ক্রেতা সলেমান মুন্সী জানান, গত বছরের
তুলনায় এবছর গরুর দাম অনেকটা বেশি। যেমন গত বছর যে গরুটা
কিনেছি ৬০ হাজার টাকা এবছর সেই গরু কিনতে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকায়। অপর ক্রেতা রহিম মিয়া জানান, বাজারের প্রায় অধিকাংশ গরুর দামাদমি করেছি। এখনো কিনতে পারিনি। অনেকটা ক্লান্ত হয়ে গেছি।
বিক্রেতারা দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। মহিপুরের গরু খামারী শাহজাহান
মিয়া জানান, এক থেকে দেড়শ কেজি ওজনের ৪ টি কোরবানী উপযুক্ত গরু
বাজারে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে গরুর খাবারের দাম অনেক বেশি। লাভ তো
দূরের কথা লালন পালন করতে যা ব্যয় হয়েছে ক্রেতারা সে দামও বলছেনা। অপর
খামারী নাঈম মিয়া জানান, ক্রেতারা যে দাম বলছে তাতে মনে হয় গরু
বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কেউই ন্যায্য দাম বলছেনা।
পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, প্রত্যেকটা পশুর
হাটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের সকল
ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।