

আল ফয়সাল অনিক,রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনি
ঋতু বৈচিত্রে চলছে আষাঢ় মাস অথচ বৃষ্টিহীনতায় চরম পানি সঙ্কটের মুখে পড়েছে রুহিয়ার আমন ধান চাষিরা। সময় মত ধান রোপণ করতে না পারলে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষি অফিস।
সরেজমিনে রুহিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফসলশূণ্যতায় পরে রয়েছে মাঠ। অনেকে পাট ও ভুট্টা তুলেও পানির অভাবে দিতে পারছেনা চাষ। গুটিকয়েক চাষি সেচ পাম দিয়েই শুরু করছে চাষাবাদ। আবার অনেকে সেচ ব্যবস্থায় বাড়তি খরচে ধান রোপণ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে।
জানাগেছে, গত বছর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় ৫১ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। ফলন উৎপাদন হয় এক লাখ ৫৯ হাজার ৬১০ টন। কিন্তু এ বছর জুলাইয়ের শুরু থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পার হলেও এখনো বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষিরা ধান রোপণ করতে পারেননি।
সমিজত উদ্দিন নামে এক চাষি বলেন, গতমাসে(জুন মাস) বৃষ্টি হয়েছিল। আমরা ধান রোপণের জন্য জমি তৈরি শুরু করেছিলাম। চলতি মাসে আর কোন বৃষ্টি হয়নি। এতে জমি শুকিয়ে ফেটে গেছে।
তৌহিদুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, বর্ষার মৌসুমে ধান ক্ষেতে হাঁটু সমপরিমাণ পানি থইথই করে। কিন্তু বর্তমানে পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছিনা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের ধানের চারা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ কৃষ্ণ রায় বলেন, প্রতি বছর জুলাই মাসে গড়ে ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। এ বছর এখন পর্যন্ত বড়জোর ১৭০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানির সমস্যায় অনেকেই পাট কেটে আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ জমিতে আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে। দ্রুত ভারী বৃষ্টিপাত না হলে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় উৎপাদন যেন ব্যহত না হয় সেজন্য চারার বয়স ঠিক রেখে সম্পূরক সেচ প্রদান করে রোপন-কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে বিএডিসি ও বিএমডিএর সেচ পাম্পগুলো চলমান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।