
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা :
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ফেন্সিডিল গাঁজাও ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে স্কুল-কলেজের তরুণরা। বৃদ্ধ, বয়স্ক ও উঠতি বয়সের যুবকেরা জড়িয়ে আছে মাদকের ভয়াবহ জালে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সচেতন অভিভাবকরা।
রাজধানী ঢাকার সাথে সীমান্ত এলাকার যোগাযোগের জন্য অন্যতম পথ হচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী-রাণীশংকৈল-হরিপুর-পীরগঞ্জ পথ। উত্তরাঞ্চল থেকে এই পথ হয়েই অধিকাংশ মাদক রাজধানীতে পৌঁছে বলে জানা গেছে। আর মাদক আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে বৈরচূনা-ফরিকগঞ্জ-কোচল বর্ডার ও বনডাঙ্গা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে। এতে খুব সহজেই সেবনের জন্য মাদকদ্রব্য পৌঁছে যাচ্ছে পীরগঞ্জের তৃণমূল পর্যন্ত। বাড়ছে মাদকসেবীদের সংখ্যা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সেবনকারী জানান, নানারকম ওষুধ, ট্যাবলেট, সিরাপ মিশিয়ে খেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়, ঝিমুনি আসে, অন্যরকম লাগে, এজন্যই এসব সেবন করি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পীরগঞ্জ থেকে সব চেয়ে বড় হাজার হাজার পিচ ইয়াবা ও ফেন্সিডিলের চালান আসে ফকিরগঞ্জ ফাটারহাট থেকে দেহানগর হয়ে ভেবরা বোর্ডহাটে এক বড় মাদক ব্যবসায়ীর হাত দিয়ে যা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, দামি-দামি কার, মাইক্রো, এম্বুলেন্স দিয়ে এই মরণব্যাধি মাদক সাড়া দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। পীরগঞ্জের প্রায় ১০-১৫টি স্পটে ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। এসব স্পট থেকে সহজেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে মাদকদ্রব্য।
অভিভাবকরা আরও জানান,মাদক ব্যবসায়ীদের হাত লম্বা হওয়ায় তারা গ্রেফতারের কয়েকদিনের মধ্যেই আবার আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবার মাদক ব্যবসা শুরু করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন,আমাদের নামে একেক জন প্রতি ৮-১০টি মামলা আছে ব্যবসা বন্ধ করলেও মামলা কিভাবে চালাবো। ব্যবসা ছেড়ে দিলেও পুলিশ তবুও নতুন নতুন মামলা দিচ্ছে কারণ আমরা মাদক ব্যবসায়ী।
সিনুয়া বাজার, গদাগাড়ি বাজার, বলাইর হাট বর্থপালিগাঁও, বৈরচুনা, ভেবরা বোর্ডহাট, ফকিরগঞ্জবাজার, ফাটারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় উঠতি বয়সের যুবকেরা ভ্রাম্যমান অবস্থায় ফেন্সিডিল, গাঁজা ও চেতনানাশক ট্যাবলেট বিক্রি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানা অফিসার্স ইনর্চাজ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাদক বিক্রেতাদের কোন ছাড় নেই অভিযান অব্যাহত রয়েছে।