
তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধাঃ
লিজা, লিমন, তহমিনা ও তৌফিক। সবাই তরুণ-তরুণী। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায়
বসবাস। একঘেয়ে জীবন ছেড়ে পৌঁছাছে গ্রামের বাড়িতে। ঈদ আনন্দে ছুটে এসেছে
ব্রহ্মপুত্রের তীরে। এই নদের দৃশ্য আর প্রকৃতির রূপে মুগ্ধ তারা। শুধু
তারাই নয়, এখানে সকল বয়স ও শ্রেণি-পেশার হাজারো ভ্রমণপিপাসু যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেছে।
সরেজমিনে সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার
ব্রহ্মপুত্রের বালাসী ঘাট দেখা দর্শনার্থীদের ভিড়। চিরচেনা দর্শনীয় এই স্থানে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী উৎসুক মানুষেরা নৌকা ভ্রমণে চরাঞ্চল ঘুরে দেখতে মেতে উঠছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, জনবহুল জেলা গাইবান্ধা। এখানে বিনোদনের জন্য কয়েকটি স্থান থাকলেও সেগুলোতে কৃত্রিম কিছু দেখা ছাড়া প্রকৃতি রূপ সৌন্দর্য চোখে পড়ে না। তাই ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে বালাসী ঘাট নামকস্থানে ছুটছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। এখানে প্রকৃতির নির্মল বাতাস আর দৃশ্য দেখতে মনের আনন্দে ঘুরাঘুরি করছে হাজারো দর্শনার্থী। নদীমাতৃক এই সুন্দর বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম গাইবান্ধার ফুলছড়ির এই বালাসী ঘাট।
এদিকে, ঈদকে কেন্দ্র করে নদীতে নামানো হয়েছে বেশ কিছু নৌকা। এসব নৌকাযোগে বিভিন্ন বালুচরে ঘুরছে বিনোদনপ্রেমিরা। তার ঘুরছেন এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তরে। নদীর তীর ও চরাঞ্চলগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণ যেন মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দের্যের যুগে বালাসীতে আগত উৎসুক মানুষেরা মুগ্ধ হয়েছেন।
ঢাকায় বসবাস করা লিজা খাতুন জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধার দাড়িয়াপুরে। ঈদ
আনন্দ উপভোগ করতে আসছেন বালাসী ঘাট এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদে। এখানে ঘুরে
অনেকটাই মুগ্ধ। যেন প্রকৃতির সঙ্ড়ে মিশে গেছেন বলে জানান তিনি।
নৌকার মাঝি আজাদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আযহাকে ঘিরে নদে নৌকা নামিয়েছি।
দর্শনার্থীদের বহন করে প্রত্যেকদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা রোজগার করছি।
অপরদিকে, কয়েকজন দর্শনার্থী অভিযোগ করে বলেন, বালাসীর এই স্থানে একটু বিশ্রামের জন্য বসার কোন ব্যবস্থা নেই। সঙ্গে টয়লেট কিংবা বাথরুমের
ব্যবস্থা করা দরকার।