
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
প্রচন্ড খরতাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রখর তাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে নগর ও জনজীবন।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কাঁঠফাটা রোদ আর গরমে খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে চরমে। এই গরমে একটু সময় বাইরে থাকাও যেন অসহনীয় হয়ে পড়েছে। অবশ্য বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ সাবলীল হওয়াতে কিছুটা হলেও মিলেছে স্বস্তি।
চুয়াডাঙ্গা শহরের ব্যাস্ততম সড়ক ও বিপনীবিতানগুলোতে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমছে জনসমাগম।সেইসাথে বিকিকিনিতেও পড়েছে ভাটা। রাস্তার মোড়গুলোতে অলস বসে থাকতে দেখা যায় ইজিবাইক চালকদের। “এই গরমে প্যাসেঞ্জারই পাচ্ছিনে, সারাদিন ২০০ টাকাও হচ্চেনা” বলছিলেন শহরের ইজিবাইক চালক জামাল।
অত্যধিক গরমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া, জ্বর ও কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে দূর-দুরান্ত হতে আসছেন সাধারণ মানুষজন। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে চলেছে প্রচন্ডভাবে।
বিগত ৩দিন মাঠের কাজে যাননি কৃষক মোতালেব মিয়া। “এই গরমে বের হতি পারচিনি, মাঠে যাবো কি করি” অসহায় দৃষ্টিতে বলছিলেন দামুড়হুদা উপজেলার সুবলপুর গ্রামের এই কৃষক।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে দেশের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র আকারে তাপদহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী আরও কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে।