

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ
প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম) র’ সিবিএ সভাপতি /সম্পাদককে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৩জু্লাই) রাঙামাটি চীপ জুডিশিয়াল আদালতে জামিনের জন্য গেলে বিচারক মো.ফারুক আসামি সিবিএ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুকে জামি না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলার বাদী ১নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে (কেপিএম) হাউজিং কলোনীর বাসিন্দা এস এম ইমরান হোসেন। তিনি কেপিএম ওয়ার্কস ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক। গত ২৩মে২২ রাঙামাটি চীপ জুডিশিয়াল আদালতে কেপিএম সিবিএ সভাপতি ও সম্পাদকের বিরোদ্বে মামলাটি দায়ের করা হয়।ওই মামলায় আসামীদ্বয় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলো।চলতি মাসের ১২তারিখ আদালতে আত্নসমর্পন দিন তারিখ দিন ধায্যছিলো। গত ৬জু্লাই সিবিএ সভাপতি /সম্পাদক আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। সোমবার আদালত বিষয়টি শুনানীর জন্য বুধবার (১৩জু্লাই) দিন ধায্য করেন।তারাই ধারাবাহিকতায় বুধবার আসামীরা রাঙামাটির চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো.ফারুক এর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন।আদালত মামলার জামিনের অযোগ্য দন্ডবিধি ৩৩১ ও ৩৮৬ ধারা বিদ্যমান থাকায় আসামীদের জামিন না মঞ্জুর করে সিডারিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন।অ্যাডভোকেট ফরহাদ চৌধুরী জানান, ২০২০সালের একটি আঘাতের ছবি দিয়ে ২০২২সালের ২৩মে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় যেদিন মামলার উল্লেখ করা হয়েছে সেটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তিনি জানান কেপিএম এর অভ্যন্তর একটি সংরক্ষিত এলাকা। সেখানে কেপিএমের নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী, পুলিশ টহল ব্যবস্থাপনাসহ প্রশাসনের সরব উপস্থিত থাকে। সেখানে প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটছে খোদ কেপিএম কর্তৃপক্ষই জানেনা। অ্যাডভোকেট ফরহাদ চৌধুরী জানান এ মামলাকে কেন্দ্রকরে কেপিএম এর নির্বাহী কক্ষে একটি বৈঠক হয়। এবং কেপিএম এর অভ্যন্তরীন তদন্ত কমিটি এ ধরনের কোন ঘটনার অস্তিত্ব পায়নি।তদুপরি সেদিন উক্ত মামলার বাদী তার উপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।সেদিন তিনি হাসপাতালে যায়নি।সেদিনের ঘটনার কোন ডাক্তারি রির্পোটও নাই।যে রির্পোটি আদালতে উপস্থাপন করেছে সেটি ছিলো ২০২০সালের। এদিকে সে মামলায় ২৭মে২৯তারিখ স্থানীয় সাংবাদিকরা এ নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে।সংবাদে এ হামলার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ রয়েছে।এবং ২৮মে চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবি সাংবাদিকদের মুঠোফোন জানান এলাকায় এ ধরনের হামলার ঘটনা শনি নেই।এবং এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করে নেই।এছাড়া ৪নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত খোকন ও ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো.মামুন জানান এ ধরনের ঘটনা শুনি নেই বা কেউ অভিযোগ করে নেই। এবং কেপিএম মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) জানান সিবিএ সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের নিকট বিগত ২৮মে তাদের বিরুদ্বে মামলা হয়েছে বিষটি আমাকে জানানো হয় বলে উল্লেখ করে।