

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি (নওগাঁ):
আমরা শুনেছি কতোই না অমর প্রেমের কাহিনী। শিরিন-ফরহাদ, লাইলী-মজনু, চণ্ডীদাস-রজকীনিসহ অনেক প্রেম কাহিনী। বর্তমানে এটা বিরল ঘটনা প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে মৃত্যু। তাও আবার বিয়ের পর।
নওগাঁ নিয়ামতপুরে রহস্যজনক ভাবে গ্যাসবড়ি খেয়ে প্রাণ গেল এক প্রেমিক দম্পত্তির। প্রাণ হারানো ঐ দম্পত্তি নাম হলো রায়হান (২৪) ও তার স্ত্রী তারাবানু (১৮)। সোমবার গভীর রাতে সবার অজান্তে গ্যাসবড়ি খেয়ে নৌকায় করে শিব নদীতে ভেসে যায় তারা। শিব নদীতে নৌকায় ভাসতে ভাসতে কোন এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তারা। তাদের মৃত্যু নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। ১২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে নৌকাটি নিয়ামতপুরের সীমানায় ভীড়লে, নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রাধানগর এলাকায় শিব নদীতে নৌকায় ভাসমান অবস্থায় ঐ দম্পত্তির মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। সংবাদ পেয়ে প্রেমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ামতপুর থানা পুলিশ। পরে মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে সম্পর্ক করে বিয়ে আবদ্ধ হয়ে ছিলেন মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের বিল সুরশুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আদম আলীর ছেলে রায়হান ও একই এলাকার পার্শ্ববর্তী শ্রীকলা গ্রামের ইস্কেন্দার আলীর মেয়ে তারাবানু। বিয়ের পর থেকেই তাদের নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছিল। তাই, তারা নিজ নিজ বাবার বাড়িতেই অবস্থান করত। ঘটনার দিনও তারাবানু ছিল তার বাবার বাড়িতে। তারাবানুর বাবা ইস্কেন্দার আলী জানান, সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত মেয়ে তারাবানু নিজ ঘরেই ছিল। কখন যে সে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে গেছে এ বিষয়ে কিছুই জানতেননা তিনি। নিয়ামতপুরের শিব নদীতে একটি ডিঙি নৌকায় দুটি মরদেহ পাওয়া যায়, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি এবং মেয়ে ও জামাইয়ের লাশ সনাক্ত করেন।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তাদের মৃত্যু বিষপানেই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।