
এস, এম, মনির হোসেন জীবনঃ বেসরকারি ‘ফোর্স সিকিউরিটি এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস’ প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রতারক চক্রের মুলহোতা মোঃ আমির হামজা ওরফে সিরাজী (৪১) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেফতারকৃত আমির হা রিয়েল মজা রাজধানীর দক্ষিণখান থানার বাদশা মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) উত্তরার সহকারী পরিচালক ও (মিডিয়া অফিসার) এএসপি নোমান আহমদ দৈনিক দেশ বাংলাকে এ খবর জানান।র্যাব বলছে, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১, উত্তরার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খিলক্ষেত থানার বনরুপা আবাসিক এলাকার প্লট নং-২৪২, রোড নং-০৪ ব্লক এ “রিয়েল ফোর্স সিকিউরিটি এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড” এর অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মুলহোতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমির হামজা ওরফে সিরাজী (৪১)কে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
র্যাব জানান, খিলক্ষেত এলাকায় রিয়েল ফোর্স সিকিউরিটি এন্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতারণা পূর্বক বিপুল সংখ্যক চাকুরী প্রার্থীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং মহিলা চাকুরী প্রার্থীদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগে মূলহোতা আমির হামজা ওরফে সিরাজীকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় অভিযুক্তের নিকট থেকে ৪ টি ওয়াকিটকি সেট, ৩ টি ওয়াকিটকি চার্জার, ১৬ টি বিভিন্ন কালারের সিকিউরিটি গার্ড ইউনিফর্মের ব্যবহার্য প্যান্ট, ২ টি ক্যাপ (রিয়েল ফোর্স), ১ টি মেটাল ডিটেকটর, ১ টি সিগন্যাল লাইট, ৬ টি বেল্ট, ২ টি মোবাইল, ৩ জোড়া বুট এবং নগদ ৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেনেন্ট কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন যাবত ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে চাকুরী দেয়ার নামে ভূয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে আসছিল। এই ধরনের আকর্ষনীয় অনলাইন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি চক্র প্রতারনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, এই এচক্রটি পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে এবং সে অনুযায়ী মাসিক বিল কালেকশন করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে কোম্পানিটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এসিআই লজিস্টিক এর স্বপ্ন শোরুমে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের একটি বড় চুক্তির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। তারা মূলত সমাজের বেকার, অল্পশিক্ষিত, দরিদ্র পরিবারগুলোকে চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতো এই প্রতারণা চক্রটি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত প্রতারক আমির হামজা ওরফে সিরাজী ১৯৯৮ সালে ঢাকায় একটি সিকিউরিটি এজেন্সিতে চাকুরী শুরু করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সে বিভিন্ন সুনামধন্য সিকিউরিটি কোম্পানী এবং সুপার শপে বিভিন্ন পদে ইয়াং ফোর্স, এলিট ফোর্স, অরিয়ন সিকিউরিটিতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পদে চাকুরি করে। সে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১৭ সালের শুরুতে রিয়েল ফোর্স নামে সিকিউরিটি কোম্পানি নামে যাত্রা শুরু করে। এতে তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে চট্টগ্রামের আলীকদমের ব্যবসায়ী ইউনুস মিয়া। তারা প্রথমে মূলত বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে এবং সে অনুযায়ী বকেয়া বিল কালেকশন করে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এসিআই লজিস্টিক এর স্বপ্ন শোরুমে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের একটি বড় চুক্তি সম্পাদন করেছিলো।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত প্রতারক আমির হামজা ওরফে সিরাজী ১৯৯৮ সালে ঢাকায় একটি সিকিউরিটি এজেন্সিতে চাকুরী শুরু করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সে বিভিন্ন সুনামধন্য সিকিউরিটি কোম্পানী এবং সুপার শপে বিভিন্ন পদে ইয়াং ফোর্স, এলিট ফোর্স, অরিয়ন সিকিউরিটিতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পদে চাকুরি করে। সে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১৭ সালের শুরুতে রিয়েল ফোর্স নামে সিকিউরিটি কোম্পানি নামে যাত্রা শুরু করে। এতে তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে চট্টগ্রামের আলীকদমের ব্যবসায়ী ইউনুস মিয়া। তারা প্রথমে মূলত বিভিন্ন ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগ করে এবং সে অনুযায়ী বকেয়া বিল কালেকশন করে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয় এবং এসিআই লজিস্টিক এর স্বপ্ন শোরুমে সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের একটি বড় চুক্তি সম্পাদন করে। তাদের ‘রিয়েল ফোর্স’ এর মূল অফিস বারিধারা ডিওএইচএস। এছাড়াও রাজধানীর খিলক্ষেত ও চট্টগ্রামের হালিশহরে তাদের দুইটি শাখা অফিস রয়েছে। তারা মূলত বিভিন্ন থার্ড পার্টির দালালের মাধ্যমে অনলাইনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে লোক কালেকশন করে। প্রথমে চাকুরি প্রত্যাশীরা দালালের সাথে দেখা করে এবং তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা চার হাজার টাকা জমা দিতে বলে।