

বগুড়া ব্যুরোঃ
বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদী থেকে নিখোঁজ দুই বন্ধু সাব্বির আহমেদ শিশির (১৭) ওসাম্মাম হোসেন তাহমিদ (১৭) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (০৯জুলাই) সকাল দশটা থেকে দুপুর একটার মধ্যে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম নামাপাড়া ও খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর নামক স্থানে করতোয়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুইটি উদ্ধার হয়।
নিহত সাব্বির আহমেদ সাম্মাম উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর জামতলা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ও মো. সাম্মাম হোসেন ওরফে তাহমিদ শেরপুর শহরের বারোদুয়ারী হাটখোলা এলাকার মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে। তারা দু’জনই একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এরমধ্যে সাম্মাম স্থানীয় শেরউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ও শিশির বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালের দিকে সাম্মাম ও শিশির একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন তারা। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে শনিবার দশটার দিকে স্থানীয় লোকজন ধড়মোকাম নামাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর পাড়ে গেলে দুর্গন্ধ পান। পরে নদীর মধ্যে একটি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে এটি সাম্মাম ওরফে তাহমিদের লাশ বলে সনাক্ত হয়। সেইসঙ্গে তার আরেক বন্ধু শিশির একইসঙ্গে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিও জানা যায়।
এদিকে সাম্মামের লাশ উদ্ধার হওয়ার তিন ঘন্টার মাথায় গোপালপুর নামক স্থানে করতোয়া নদীর মধ্যে ভাসতে থাকা শিশিরের লাশও উদ্ধার করেন পুলিশ।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উদ্ধার হওয়া লাশ দু’টি নিখোঁজ সাম্মাম ও শিশিরের বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা সনাক্ত করেছে। পাশাপাশি মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে উক্ত ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।