
বগুড়া ব্যুরো :
শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী দুইটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্বামী-স্ত্রী দুইজন মারা যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ জনে। শুক্রবার (১৫জুলাই) রাতে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহতদের নাম-পরিচয়ও মিলেছে।
নিহতরা হলেন-গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসিন্দা মশিউর রহমান (৩৫), তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৩০), নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফেন্সি বেগম (৪০) ও বাস চালক গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার কোব্বাত আলীর ছেলে সুজন মিয়া (৩০)। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩জনই গামেন্টস কর্মী। ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা।
শনিবার দুপুরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান শুক্রবার (১৫জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা ব্রীজ নামক স্থানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে কালিয়াকৈর পরিবহনের একটি যাত্রীবাস ও নওগাঁ ট্রাভেলস নামের আরেকটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাস চালক সুজন মিয়া ও যাত্রী ফেন্সি বেগম নিহত হন। এসময় গুরুতর আহত উভয় বাসের আরও দশজন যাত্রী বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে যাত্রী মশিউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস বেগম শুক্রবার রাতে মারা গেছেন।
হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। উক্ত ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি দায়ের করা হয়েছে ।