
মামুনুর রশীদ নোমানী, বরিশাল অফিস :
বরিশাল নগরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন, দুর্গাসাগর, শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সের মানুষের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। নগরবাসী মুক্ত বাতাসে প্রাণ খুলে নিশ্বাস নিতে পারছেন বলে জানান বিনোদন কেন্দ্রে আগত দর্শনার্থীরা।
কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী ত্রিশ গোডাউন এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, স্বাধীনতা পার্ক, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, কীর্তনখোলা নদীর উপর নির্মিত দপদপিয়া সেতু (শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত), উজিরপুরের গুঠিয়ার দৃষ্টিনন্দন বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স, দুর্গা সাগর, শিশু পার্ক এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাও বিনোদন প্রেমীদের ভিড় দেখা গেছে। সাথে নদীতে নৌকা-ট্রলারে বেড়ানোর সুযোগ। নিসর্গ ও প্লানেট পার্কের রাইডারগুলো বিশেষ আকর্ষণ ছিলো শিশুদের। নদীর পাড়ে ঘুরতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, এবার ঈদে প্রশাসনের নজরদারী থাকলেও আবহাওয়া ভালো থাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছি। তবে গত রোজার ঈদে বৃষ্টি থাকার কারনে বের হতে পারিনি। এবার আর সেই সমস্যা নাই তাই সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
শিশু পার্কের টিকিট চেকার সুমাইয়া জানান, গত ঈদে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লোকজন তেমন একটা আসেনি। করোনা সংক্রমণের ভয় ছিল সাধারণ মানুষের মাঝে। আবার প্রশাসন থেকেও আমাদের পার্ক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সকাল থেকেই পার্কে শিশুসহ সব বয়সী মানুষের চাপ বেড়েছে।ত্রিশ গোডাউনে ঘুরতে আসা মিরাজ ও শাহিনুর দম্পতি জানান, করোনার কারণে গত দুই ঈদ বাচ্চাদের নিয়ে বরিশালে আসতে পারেননি। কিন্তু এবার করোনার সংক্রমণ না থাকায় এবং ছুটি থাকায় বরিশালে এসেছেন। আর এসেই ঈদের দিন বিকেলে নিজেদের সন্তানসহ স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। কীর্তনখোলা নদীর তীরে মুক্ত বাতাসে মন খুলে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।সোনিয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এবার করোনা সংক্রমণ অনেক কম, নাই বলেই চলে। তাই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বের হয়েছি।