
উত্তম কুমার, (বাউফল) পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত বহুতল ভবনটি হস্তান্তরের আগেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বরাদ্ধকৃত অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ভবনের রং উঠে যাচ্ছে। সমানভাবে ভবনের প্লাস্টার করা হয়নি। উচু নিচু প্লাস্টার করা হয়েছে। আবার ভবনের অনেক জায়গায় প্লাস্টারে ফাটল ধরেছে। নিম্নমানের কাঠের দরজা ও জানালার গ্রিল লাগানো হয়েছে। ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে গত বছর জুন মাসে। কেবল মাত্র ৭ মাস অতিবাহিত হয়েছে। অথচ ভবনটির বর্তমান অবস্থা দেখলে মনে হয় ৪-৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। একই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত উপজেলা পরিষদের হল রুমের নির্মাণ কাজটিও করা হয়েছে যেনতেন ভবাবে। ওই ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছিল যা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেরামত করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৯-২০২০ ইং অর্থ বছরে বাউফল উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন কাম অডিটোরিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য একে মা অ্যান্ড জেভি নামে একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাড়ে ৭ কোটি টাকার চুক্তি হয়। প্রকল্পের কাজ শুরুর পর সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নির্মাণকাজে নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে একাধিক পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এরই মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সব বিল তুলে নেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভবনটি হস্তান্তর করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। আস্তরের হেয়ার ক্রাক হয়েছে। এটা বড় কোনো সমস্যা নয়।’ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে শুনেছি। এখনও হস্তান্তর করা হয়নি’। হস্তান্তরের সময় সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা দেখে শুনে বুঝে নেয়া হবে। ভবনটি হস্তান্তরের আগে সমুদয় বিলের টাকা ঠিকাদার উত্তোলন করে নিয়েছেন, জানেন কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে, ‘আমি জানিনা’।