

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারায় কৃষকদের প্রণোদনার সরকারি সার বিক্রয়ের অপরাধে দায়েরকৃত মামলায় ঝিকরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান-মেম্বর ও ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (১৭ জুলাই) রাজশাহীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে বিচারক তাদের জামিন নামুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেল-হাজতে পাঠানো আসামিরা হচ্ছেন ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম ও সার ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকেও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা গেছে, বাগমারা উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য উত্তোলনকৃত প্রণোদনার সার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রির করে দেন। ওই বিষয়ে উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমতিয়াজ দেওয়ান বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে ছিলেন। কিন্তু ওই মামলার আরো দুই আসামী ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম ও সার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন পলাতক ছিলেন।
অন্যদিকে আমজাদ হোসেন নামে আরেক সার ব্যবসায়ীকে সার বিক্রির সময় হাতে নাতে আটক করেছিল পুলিশ। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গোপনে বিক্রয়কৃত ওই সকল সার জব্দ করে দোকান সিলগালা করে রেখেছিলেন আইনশৃংখলা বাহিনী। আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত সার গত ৭ জুলাই ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পাট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলার ২ হাজার ৪৬০ জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ বিতরণ করা হয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাট চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছিল কৃষকদের। ঝিকরা ইউনিয়নে ২৫০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছিল পাট বীজ। ওই সকল কৃষককে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইউরিয়া, ডিএপি এবং এমওপি সার বিনামূল্যে প্রদানের জন্য সার গুলো প্রদান করা হয়। প্রণোদনার সেই সার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জোগসাজসে বিক্রয় করা হয়েছিল।
বাগমারা থানার তদন্ত (ওসি) মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, প্রণোদনার সরকারি সার বিক্রয়ের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আগাম জামিন নিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। আদালতে হাজির হয়ে আবারও জামিন আবেদন করলে মহামান্য আদালত জামিন নামুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।