
সোহেল সামী, সিনিয়র রিপোর্টারঃ
আওয়ামীলীগের মুকুল বোস মারা যাওয়ার সংবাদে দৈনিক সমকালে নিউজ হয়েছে। সেখানে হাজার হাজার লোক হাহা রিয়েক্ট করেছে, হাজার হাজার লোক লাভ রিয়েক্ট করেছে, হাজার হাজার লাইক পড়েছে। কেউ কেউ কমেন্ট করেছে- আলহামদুলিল্লাহ। যদিও নীতিগতভাবে মরা মানুসের সাথে বেয়াদবি, আমি সাপোর্ট করিনা। কিন্তু মানুষ তো করেছে! তাই দেখে সাংবাদিক পুলোক ঘোটোক খুব খেপেছেন, হাজার হলেও জাতভাই, একটু বেশি জ্বলে। ফেসবুকে বিস্তর এক লেখা লিখে ফেলেছেন। লেখার পরতে পরতে সম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকেছেন, কিন্তু একবারও তলে হাত দিয়ে দেখেন নাই। জীবন থাকাকালীন তার মুকুল দাদা যে পার্টিটার প্রতিনিধিত্ত করে গেছেন, সেই পার্টির সাথে সেই দেশের জনগণের কি সম্পর্ক চলছে, তলিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেন নাই। নাসিম কি হিন্দু ছিলো, দেখুন তার মৃত্যুর সংবাদে জনগণ কি রিয়্যাক্ট করেছে। ভেবে দেখেছেন কি, রাজনীতি কোন পর্যায়ে গেলে একজন মরা মানুষকেউ জনগণ ছাড় দেয়না। হয় পুলোক দা এ ব্যাপারে অগ্য, যেটা হতে পারে না। একজন মোস্ট সিনিয়র সাংবাদিক, সে ঠিকি জানে। সব কিছু জেনে বুঝে, আসল ঘটনা লুকাতে, উদ্দেশ্যমুলক ভাবে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ শুকেছেন, নীতিশাস্ত্র খুলে নিয়ে বসেছেন। নিচে তার লেখাও দিয়ে রাখলাম। যেন পড়ে চাতুরতা স্বরুপ উন্মোচন করতে পারেন আপনারা।
“মুকুল বোস কত মানুষের বাড়িতে আগুন দিয়েছিলেন জানি না। তিনি জীবনভর কত মানুষের ক্ষতি করেছেন, কতজনকে হত্যা, ধর্ষন কিংবা কি পরিমাণ ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাস করেছেন তাও জানি না। পত্রিকায় এরকম খবর দেখিনি।
আজ তাঁর মুত্যু সংবাদে কত মানুষ ”হা হা” রিঅ্যাক্ট দিচ্ছেন, দৈনিক সমকালের ফেসবুক পোস্টে দেখুন। মন্তব্যগুলো পড়লেও সমাজের গতিপ্রকৃতি বোঝা যায়। (লিংক মন্তব্যে)। আচ্ছা, মরে যাওয়া লোকটার প্রতি এই মানুষগুলোর কিসের এত রাগ? এরা সবাই মুকুল বোসকে দেখেনি; হয়তো শুধু তার নামটাই শুনেছে।
আমরা দুই ধরনের নীতিশিক্ষা পাই – একটি ধর্মীয় এবং আরেকটি সাধারণ মানববোধের নীতিশিক্ষা। সালাম দেওয়া, নমস্কার জানানো ইত্যাদি বিষয়ে ধর্মীয়ভাবে শেখানো হয়। যারা “হা হা” রিঅ্যাক্ট দিয়েছে বা কটু মন্তব্য করেছে ফেসবুকে তাদের প্রোফাইল চেক করে দেখুন- এরা সবাই ধার্মিক। বাংলাদেশের ধার্মিক মানুষেরা কোন নীতি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ?”