
নয়ন মৃধা ও আব্দুল কাইউম, কুয়াকাটা থেকে:
সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ছন্দা পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫ নামে গাড়ির বাসস্টাফদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে পর্যটক দম্পত্তি। এসময় ভিডিও করার অপরাধে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙ্গে ফেলা ও পর্যটকের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বাসস্টাফদের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেল তিনটার দিকে এই হামলা চালানো হয়। আহত পর্যটকরা হচ্ছেন, মোঃ রুবেল, রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফা বেগম।
বাসস্টাফদের হামলায় আহত পর্যটক মোঃ রুবেল হোসেন জানান, নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে তার পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসে
কুয়াকাটা কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় বাসের কন্ডাক্টার এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাক্য বিনিময় করেন। এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় হুমকি দিয়ে চুপ থাকেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলে পড়ে। ভিডিও করার অপরাধে মারধর করা হয় পর্যটক রিপন মাহমুদকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মোঃ কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেয়।
বাস চালক কামাল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।