

ফুলছড়ি, সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
তিন বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেই গড়ে তোলেন ছাগলের খামার। বেকারত্ব দূর করতে একটি ছাগল দিয়ে যাত্রা শুরু করে তার খামারে রয়েছে কাশ্মীরিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০টি ছাগল। সংসার ও খামার সম্প্রসারণ করার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় ৩০টি ছাগল বিক্রি করেছেন শামসুল হক।
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের স্কুল বাজার গ্রামের আব্দুল সাত্তার মিয়ার পুত্র শামসুল হক ২০০৯ সালে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পাড়ি জমান সৌদি আরব। বছর তিনেক প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশের টানে ২০১২ সালে আবার চলে আসেন গ্রামে। বেশ কিছু দিন চলার পর বেকার হয়ে পড়েন শামসুল হক। বেকারত্ব দূর করতে শখের বসে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ১৭ হাজার টাকায় একটি কাশ্মীরি ছাগল ক্রয় করে ছোট পরিসরে লালন-পালন শুরু করেন। ধীরে ধীরে একটি কাশ্মীরি ছাগল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
তার খামারে প্রায় ৬০টি ছাগল রয়েছে। এই খামার থেকে আয় করে তার পরিবারে জীবন-জীবিকা পরিচালনাসহ এক ছেলে দুই মেয়ের পড়াশুনার খরচও চালান। বিভিন্ন সময়ে ৩০টি ছাগল বিক্রি করলেও বর্তমানে তার খামারে ৩০টি ছোট-বড় ছাগল রয়েছে।
খামারি শামসুল হক বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাডড়ানোর কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে খামার পরিচালনা করতে, যেমন ভুসি, ছোলা বুট, খোল, কাঁচা ঘাস, অধিক পরিমাণ দাম বেড়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় যখন ছাগল পালন শুরু করি লভ্যাংশ দেখা যাইতো। দুই তিন বছর ধরে লভ্যাংশ দেখা যায় না, সরকার থেকে কোন ধরণের সহযোগিতা পাইনি। হয়তো উপজেলায় অনেক কিছুই আসে, আমরা যারা খামারি আছি আমাদের ভাগ্যে এগুলো জোটে না, সরকার যদি আমাদেরকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমরা খামারিরা টিকে থাকতে পারবো আমার খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক খামার করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমি তাদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
সাঘাটা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রেবা বেগম জানান, আমি আপনার মুখে শুননাল শামসুল হক ছাগলের খামার দিয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে তাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।