

এম আর আমিনঃ
ঈদের ছুটিতে নগরীর বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের কোলাহলে মুখর সব পর্যটনকেন্দ্র। উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।নগরের পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজির দেউড়ি শিশুপার্ক, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব, কর্ণফুলী শিশুপার্ক,বায়েজিদ লিংক রোড, ছিল শিশু ও অভিভাবকদের ভিড়।এদিকে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটে যাওয়ায় নগরী এখনো অনেকটা ফাঁকা রয়েছে।
বন্দরনগরীর ব্যস্ততম সড়কের চিরচেনা অসহনীয় যানজটের দৃশ্যও চোখে পড়েনি। বিভিন্ন রুটে গণপরিবহন চলাচল করলেও সেগুলোতে নেই যাত্রীর ভিড়। নগরীর অধিকাংশ সড়ক এখনো ফাঁকা। কোথাও যানজট নেই, নেই বিষাক্ত কালো ধোঁয়া।মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে গত দু্ই বছর ঈদের আনন্দ ভালোভাবে উপভোগ করতে পারেনি নগরবাসী। চলতি বছর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় রমজানের ঈদের মতো এবার কোরবানির ঈদের ছুটিতেও নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। যান্ত্রিক জীবনের গ্লানি মুছে পরিবার, নিকটাত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দিনভর আনন্দে মেতেছিলেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।কাজীর দেউড়ি শিশু পার্কে ঈদের ছুটি উপভোগ করতে শিশুদের সাথে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও পার্কে ভিড় করেন। পার্কে শিশুরা বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দে মাতে। সেই আনন্দে সামিল হয়েছেন বড়রাও।ফয়’স লেকে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই স্লাইড, ইয়েলো ড্রাই স্লাইড, বাগ বাউন্স রাইডে চড়ে শিশুরা আনন্দ মেতে ওঠে।চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এছাড়া চিড়িয়াখানায় বাঘ ও হরিণের খাচার সামনে দাঁড়িয়ে অনেকে সেলফি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। তবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাটিয়েছে বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচার সামনে।স্বাধীনতা কমপ্লেক্সও দর্শনার্থীদের ছিল ভিড়। দর্শনার্থীরা জাতীয় সংসদ ভবন, আহসান মঞ্জিল, কার্জন হল, কান্তজির মন্দির, লালবাগ কেল্লা, বড় কুঠি, ছোট কুঠি, সেন্ট নিকোলাস চার্চ, দরবার হল, হাই কোর্ট, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ট্রেনের নিচে ব্রিজ, ছয়টি কিউচ (বসার স্টল), চিরন্তন পল্লী, সোনা মসজিদ, পাহাড়পুর বিহারসহ উল্লেখযোগ্য মিনি স্থাপনাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। পতেঙ্গা সী- বিচে হাজারো মানুষের মিলনমেলায় মুখর। কেউ মেতে ওঠেন সমুদ্রস্নানে, অনেকে চড়েন স্পিডবোটে, কেউ কেউ ঘোড়ার পিঠে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান সৈকতে।বায়েজিদ লিংক রোডে বিকাল নামতেই মানুষের সমাগম আরো বেড়ে যায়। এছাড়াও মেরিন ড্রাইভ সড়কও ছিল মানুষে ঠাসা।পতেঙ্গা থানার ওসি কবীর হোসেন বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।মোবাইল টহল বাড়ানো হয়েছে, যেন পর্যটকরা কোনো হয়রানির শিকার না হয়।