
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধাঃ
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে আবুল কালাম আজাদ। লাভে আশায় করেছিলেন একটি গাছ বাগান। এই বাগানের প্রায় ১৩০ টি গাছ কেটে সাবার করেছে শত্রুরা। নিমিষে সেই স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেছে তার। এ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন তিনি।
এ ঘটনায় সোমবার (১৮ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ বলেছে বিষয়টি তদন্ত করে
দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের কিশামত বাগচী (খন্দকারপাড়া) গ্রামের মৃত বীর মৃক্তিযোদ্ধা এমএম মোমিন খন্দকারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ তার নিজস্ব জমিতে কাঠবৃক্ষ চারা রোপন করে একটি বাগান সেজেছিলেন। ভবিষ্যতে এই বাগান থেকে অর্ধ কোটি টাকা লাভের আশা কার হয়। সেই লক্ষে সার্বক্ষণিক বাগানটি পরিচর্যাসহ নানাভাবে শ্রম দিয়ে আসছিলেন।
এরই মধ্যে পুর্ব শত্রুতার জেরে রোববার (১৭ জুলাই) রাতে একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ খন্দকারের ছেলে লাল মিয়া ও আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের আরও
অনেকে পুর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই বাগানের ইউক্লিপটার্স ও মেহগনী প্রজাতির প্রায় ১৩০ টি গাছ কেটে ফেলে। এসময় টের পেয়ে আবুল কালাম আজাদ বাঁধা দিতে গিলে তাকে হত্যা কারার হুমকি দিয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে ওইসব শত্রুরা।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভুক্তভোগি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের জমি ভোগদল করতে আসার একপর্যায়ে লাল মিয়া গংরা সেই জমি জোরপুর্ব দখলের পায়তারা করে আসছিলেন। এই জের ধরে আমার বাগানের গাছগুলো কেটে সাবার করেছে তারা।
অভিযুক্ত লাল মিয়া বলেন, কে বা কারা গাছ কর্তন করেছে সেটি আমার জানা নেই। উল্টো আমাদের দায়ি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মিল্লাত হোসেন জানান, গাছ কর্তনের বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।